পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৭
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

কংগ্রেসের বর্ত্তমান পরিস্থিতি দূর করিয়া আমাদের জাতিকে পথ প্রদর্শন করুন।

 ১৯৩৮ সালে হরিপুরা কংগ্রেসের পর আন্তর্জ্জাতিক রাজনীতি ক্ষেত্রে বহু উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটিয়াছে, তন্মধ্যে ১৯৩৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যে মিউনিক চুক্তি হয়, তাহা বিশেষ জরুরী। ঐ চুক্তিতে ফ্রান্স ও গ্রেটব্রিটেন হীনভাবে নাৎসী জার্ম্মাণির নিকট আত্মসমর্পণ করিয়াছে। ফলে ফ্রান্সের ক্ষমতা খর্ব্ব হইয়া গিয়াছে, আর জার্ম্মাণি বিনা অস্ত্রে ইউরোপে রাষ্ট্রীয় প্রাধান্য লাভ করিয়াছে। সম্প্রতি গণতান্ত্রিক স্পেনের পতনে ফ্যাসিস্ট ইতালিও নাৎসি জার্ম্মাণির শক্তি ও মর্য্যাদা বৃদ্ধি পাইয়াছে। ইউরোপের রাষ্ট্রনীতি ক্ষেত্র হইতে আপাততঃ সোভিয়েট রুশিয়াকে মুছিয়া ফেলিবার ষড়যন্ত্রে তথাকথিত গণতান্ত্রিক ফ্রান্স ও গ্রেটব্রিটেন ইটালি ও জার্ম্মাণির সহিত যোগ দিয়াছে। কিন্তু রুশিয়াকে কতকাল দাবাইয়া রাখা সম্ভব হইবে এবং রুশিয়াকে অপদস্থ করিবার চেষ্টায় ফ্রান্স ও গ্রেটব্রিটেনের কি লাভ হইয়াছে? সম্প্রতি ইউরোপ ও এশিয়ায় যে সকল আন্তর্জ্জাতিক ঘটনা ঘটিয়াছে, তাহাতে ব্রিটিশ ও ফরাসী সাম্রাজ্যবাদের শক্তি ও মর্য্যাদা যথেষ্ট খর্ব্ব হইয়াছে।

 এখন আমাদের স্বদেশের রাজনীতি আলোচনা করা যাউক। আমার শরীর অসুস্থ বলিয়া আমি কয়েকটি জরুরী সমস্যার মাত্র উল্লেখ করিব।

 গত কিছুদিন যাবৎ আমি বোধ করিতেছি যে এখন আমাদের