পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৯
বাঙ্গালীর প্রতিতা ও সুভাষচন্দ্র

আন্দোলন আরম্ভ করিবার সময় উপস্থিত হয় নাই। বিষয়টি আমি বাস্তববাদীর দৃষ্টিতে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পর্য্যবেক্ষণ করিয়াও নৈরাশ্যের অণুমাত্র কারণ খুঁজিয়া পাইলাম না। আটটি প্রদেশে শাসন ক্ষমতা লাভ করায় আমাদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান কংগ্রেসের ক্ষমতা ও মর্য্যাদা বৃদ্ধি পাইয়াছে। বৃটিশভারতে গণ আন্দোলন অনেকটা অগ্রসর হইয়াছে। দেশীয় রাজ্যসমূহেও অভূতপূর্ব্ব জাগরণ দেখা দিয়াছে। আন্তর্জ্জাতিক পরিস্থিতিও আমাদের অনুকূল। এতদবস্থায় স্বরাজ লাভের পথে চুড়ান্তভাবে অগ্রসর হইবার আমাদের জাতীয় ইতিহাসে ইহার চেয়ে আর কি সুসময় উপস্থিত হইতে পারে?

 আমি স্থির মস্তিস্ক বাস্তববাদী হিসাবে বলিতে পারি, বর্ত্তমান পরিস্থিতি আমাদের এত অনুকূল যে এখনই সাফল্যের সর্ব্বাধিক আশা পোষণ করা উচিত। আমরা যদি কেবল ভেদ ও বাদ বিসম্বাদ বিসর্জ্জন দিয়া জাতীয় আন্দোলনে আমাদের সমগ্র শক্তি ও সম্পদ নিয়োজিত করি তাহা হইলেই বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে অপ্রতিহত আক্রমণ চালাইতে পারিব। বর্ত্তমান সুযোগপূর্ণ পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করিয়া আমরা রাজনৈতিক দূরদৃষ্টির পরিচয় দিব অথবা জাতীয় জীবনের দুর্লভ সুযোগ হেলায় হারাইব।

 দেশীয় রাজ্যসমূহে জাগরণের কথা আমি উল্লেখ করিয়াছি। আমার দৃঢ় অভিমত এই যে, দেশীয় রাজ্য সম্পর্কে আমরা হরিপুর কংগ্রেসের প্রস্তাবে যে মনোভাব প্রকাশ করিয়াছি, তাহা