পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
৮০

 জেনারেল Tozoর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে প্রধান প্রধান ভারতীয় নেতৃগণকে লইয়া টোকিওতে একটি সভার অধিবেশন হয়। তৎপরে রাসবিহারী বাবু ব্যাঙ্ককে আসিলে পূর্ব্ব এশিয়ার সমস্ত প্রবাসী ভারতীয়গণের প্রতিনিধিগণকে লইয়া তাঁহার নেতৃত্বে ১৯৪২ সালের ১৫ই জুন হইতে ২৩শে জুন পর্য্যন্ত কয়েকটি বৃহত্বর সভার অধিবেশন হয়। ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতালাভই এই সভাগুলির উদ্দেশ্য ছিল। রাসবেহারী বাবু বার্দ্ধক্যে উপনীত হওয়া সত্ত্বেও নবোদ্যমে একটি জাতীয় সেনাবাহিনী গঠন করিবার চেষ্টা করেন, এবং তদুপলক্ষে অর্থসংগ্রহ করিতে আরম্ভ করেন। যাঁহারা সেনাদলে যোগ দিলেন, তাঁহাদের সামরিক শিক্ষার ব্যবস্থাও করা হইল।

সুভাষচন্দ্রের আগমন

 ১৯৪৩ সালের ১৫ই জুন তারিখে সুভাষবাবু বার্লিন হইতে একখানি জার্ম্মাণ সাবমেরিণের সাহায্যে প্রথমতঃ সুমাত্রা দ্বীপে উপস্থিত হন। তথা হইতে বিমানযোগে টোকিও নগরে আগমন করেন। তাঁহার আগমন সংবাদে নবগঠিত সৈন্যগণের মধ্যে এক উত্তেজনার সঞ্চার হয়। সুভাষবাবু ২রা জুলাই সিঙ্গাপুরে আসিয়া উপস্থিত হন। রাসবেহারী বাবু ৪ঠা তারিখে একটি বিরাট সভার আয়োজন করিয়া সুভাষবাবুকে Leagueএর সভাপতি হইতে অনুরোধ করেন। এই গুরুদায়িত্বভার সুভাষ