এক সময়ে প্রাতঃস্মরণীয় রাণী ভবানী মণিবেগমকে একখানি পালকী, ৩০ জন বাহক এবং তাহাদের ভরণপোষণের জন্য চাক্রাণ জমি উপঢৌকন দিয়াছিলেন। এই জমি অদ্যাপি নিজামতভুক্ত আছে।[১]
মণিবেগম মাসিক ১২০০০৲ টাকা[২] ও বব্বুবেগম ৮০০০৲ টাকা বৃত্তি পাইতেন। মুর্শিদাবাদ সহরে যে চক মসজিদ অদ্যাপি বিদ্যমান আছে, তাহা মণিবেগমেরই কীর্ত্তি। তিনি ১৭৬৭ খৃঃ অব্দে উহার প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন।
অধ্যাপক শ্রীযুক্ত অমূল্যচরণ ঘোষ বিদ্যাভূষণ মহাশয় তাঁহার পুস্তকাগার হইতে কিছুদিন পূর্ব্বে আমায় একখানি মূল পারস্য গ্রন্থ দিয়াছিলেন। তাহাতে একজন সম্ভ্রান্ত ইংরাজ মণিবেগমের লিখিত একখানি পত্রের উত্তরে যাহা লিখিয়াছেন, তাহার বঙ্গানুবাদ আমরা নিম্নে প্রদান করিলাম। ইহা হইতে ইংরাজদের প্রতি তাঁহার যে একটা সহানুভূতি ছিল এবং তাঁহাদের সহিত আত্মীয়তা করিতে যে তিনি পরাঙ্মুখ ছিলেন না, তাহা বেশ বুঝিতে পারা যায়। পত্রখানি ১৩ই জানুয়ারী ১৮০০ খৃঃ অব্দে লিখিত।
“আপনার বিনীত ভৃত্যের অসুস্থতার বিষয় অবগত হইয়া, আপনি যে সহানুভূতি প্রকাশ করিয়াছেন ও পুনরায় আরোগ্য-সংবাদ পাইয়া আমার প্রিয় বন্ধু নসীর মহম্মদ খাঁর মারফৎ আনন্দ প্রকাশ করিয়া যে অনুগ্রহ-লিপি পাঠাইয়াছেন, তাহা পাঠে যে কি পর্য্যন্ত আহ্লাদিত হইলাম, তাহা বর্ণনা করিয়া শেষ করা যায় না। আপনি আমার ও আমার পরিবারবর্গের কুশলবার্ত্তা জানিতে চাহিয়া মহানুভবতারই পরিচয়
৪৫