করে। অতঃপর সর্দ্দারগণের কলহ ও বিদ্রোহের ফলে বাহামনি রাজ্য পাঁচ ভাগে বিভক্ত হইয়া যায়। এই রাজ্যপঞ্চকের অধীশ্বর সুলতানেরাও প্রায় এক শত বৎসর কাল প্রচণ্ডতেজে দক্ষিণাপথ শাসন করেন। মোসলমানদিগের এই সার্দ্ধদ্বিশত-বর্ষব্যাপী কঠোর শাসন-চক্রের পেষণে জর্জ্জরিত হইয়া মহারাষ্ট্রবাসী “ত্রাহি” “ত্রাহি” করিতেছিলেন। মহারাষ্ট্রদেশ হইতে আর্য্যধর্ম্ম ও আর্য্যবিদ্যা বিলুপ্তপ্রায় হইয়াছিল। অধিকাংশ প্রসিদ্ধ তীর্থক্ষেত্রে দেব মন্দিরাদির স্থানে মস্জেদ নির্ম্মিত হইয়াছিল।
এইরূপে হিন্দুস্থান “যবনস্থানে” পরিণত হইতেছিল দেখিয়া ধর্ম্মপ্রাণ মহারাষ্ট্রবাসী ভয়াকুল হইয়া উঠিলেন। কল্পনাবিহারী দাক্ষিণাত্য কবি সুখময় কল্পনাসাম্রাজ্য পরিত্যাগপূর্ব্বক দেশের দুরবস্থা বর্ণনায় মনোযোগী হইলেন।—
অবনাবতীত-পবনাশ্বশোভিনো,
ভব-নাগশায়ি-ভবনাবমর্দ্দিনঃ।
সবনাদি-কর্ম্মলবনায় দীক্ষিতাঃ,
যবনাশ্চরপ্তি ভুবনাতিভীষণাঃ।
বিশ্বগুণাদর্শ—১৬২ শ্লোক।
“হিন্দুদিগের ধর্ম্ম কর্ম্ম লোপ করিবার জন্য যবনদিগের দুর্জ্জয় তুরঙ্গসেনা ভৈরববেশে দেশে দেশে দেবমন্দিরাদি