পাতা:বাজী রাও - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পূৰ্ব্বভাষ ।

এই নীতির উদ্ভাবন করিয়াছিলেন। তাঁহার পরবর্তী মহা-রাষ্ট্রীয় বীরেরা উহার অনুসরণ করিয়া দক্ষিণাপথে আপনাদিগের প্রাধান্য রক্ষা করেন। কিন্তু বাজী রাওয়ের বুদ্ধিকৌশলে ও শৌর্য্য-বলেই ভারতের প্রায় সর্ব্বত্র ঐ নীতির বৈদ্যুতিক ক্রিয়া আরব্ধ হয় এবং তাহার ফলে ভারতবর্ষের অধিকাংশ প্রদেশ মোসলমানদিগের শাসন-পাশ হইতে বিমুক্ত হইয়া মহারাষ্ট্রীয়দিগের রাজচ্ছত্রতলে আশ্রয় লাভ করে। বাজী রাওয়ের পূর্ব্বে এরূপ ভাবে কেহ এই নীতির পরিচালন করেন নাই—করিবার অবসরও পান নাই। তাঁহার স্ব-সম-সময়ের সহযোগী রাজপুরুষগণের মধ্যেও তিনি ভিন্ন আর কেহই এই নীতির ঈদৃশ পরিচালনে সাহসী হন নাই। ইহাই বাজীরাওয়ের চরিত্রের একটি প্রধান বিশেষত্ব। এ বিশেষত্ব ভারতবর্ষের ইতিহাসে তৎপূর্ব্বে অপরিজ্ঞাত ছিল। বাজী রাওয়ের প্রায় এক শতাব্দী পরে ইংরাজেরা এই নীতির সময়োচিত সংস্কারপূর্ব্বক অনুসরণ করিয়া সমগ্র ভারত- সাম্রাজ্যের অধীশ্বর হইতে সমর্থ হন। ইংরাজী ইতিহাসে ইহা The system of subsidiary alliance নামে পরিচিত। ইহার মহারাষ্ট্রীয় নাম “চৌথাই” বা চৌথ পদ্ধতি।

 মোগলদিগের আমলে দেশের শান্তিরক্ষা ও বহিঃশত্রুর আক্রমণ হইতে রাজ্য-রক্ষার আয়োজনে সাধারণতঃ রাজ-