করিয়াছিলেন যে, তিনি অতঃপর মারাঠাদিগকে মালবে পদার্পণ করিতে দিবেন না।[১]
এদিকে বাজী রাও যথাসম্ভব ক্ষিপ্রতার সহিত প্রায় ৮০ সহস্র সৈন্য সংগ্রহ করিয়া নর্ম্মদাপেশওয়ের রণসজ্জা। উত্তীর্ণ হইলেন। ১৭৩৮ খৃঃ জানুয়ারি মাসে ভূপাল (ভোপাল) নামক স্থানে উভয় পক্ষে যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে বাজী রাও নিজামকে উপযুক্ত শিক্ষা দান করিবেন, সংকল্প করিয়াছিলেন। কিন্তু তাঁহার সৈন্যদল সত্বর গতিতে মালবে উপস্থিত হইতে বাধ্য হওয়ায় নিতান্ত পরিশ্রান্ত হইয়াছিল। এই কারণে তিনি একেবারে নিজামকে আক্রমণ করিতে পারিলেন না। এই সময়ে নিজাম যদি বাজী রাওকে আক্রমণ করিতেন, তাহা হইলে সে যুদ্ধে জয়লাভ করা বাজী রাওয়ের পক্ষে অতীব কষ্টসাধ্য হইত। কিন্তু তিনি তাহা করিতে সাহসী না হইয়া ভূপাল নামক দুর্গের নিকট শিবির-সংস্থাপনপূর্ব্বক বাজী রাওয়ের আক্রমণের প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন। ঐ স্থানের একদিকে একটি নদী ও অপর দিকে একটি
- ↑ নিজামের এই সৈন্য-সংখ্যার বিবরণ চিমণাজী আপ্পা কর্তৃক ১৭৩৭ খৃষ্টাব্দের ২২এ ডিসেম্বর (পৌষ শুক্লা প্রতিপৎ) তারিখে শ্রীমদ্ব্রহ্মেন্দ্র স্বামীকে লিখিত পত্র হইতে গৃহীত হইল।