বিস্তীর্ণ জলাশয় ছিল। নিজামের বিবেচনা মতে তিনি অতি সুদৃঢ় স্থানেই আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন।
কিন্তু তাঁহার বুদ্ধিদোষে উহাই তাঁহার সর্ব্বনাশের কারণ হইল। প্রথম দিনের যুদ্ধেই নিজামেরসংঘর্ষ। পক্ষীয় ৫শত রাজপুত নিহত এবং ৭শত অশ্ব মহারাষ্ট্রীয়গণের হস্তগত হয়। মহারাষ্ট্র-পক্ষে ১ শত সৈনিক নিহত ও ৩ শতজন আহত হইয়াছিল। আর একদিনের যুদ্ধে মোসলমানগণের ১৫ শত সৈনিক গতাসু হয়। নিজাম দুর্গের আশ্রয়ত্যাগ করিয়া উন্মুক্ত প্রান্তরের দিকে অগ্রসর হইলে, সহজেই তাঁহার পরাজয় সাধন করিতে পারা যাইবে, ভাবিয়া বাজী রাও প্রথমে একটু দূরে সরিয়া গেলেন। কিন্তু নিজাম দুর্গের আশ্রয় ত্যাগ করিলেন না। তখন বাজী রাও নিজামকে চতুর্দ্দিক্ হইতে বেষ্টিত করিয়া অবরুদ্ধ করিলেন। নিজাম পিঞ্জরবদ্ধ হইয়া বাদশাহের নিকট সহায়তা চাহিয়া পাঠাইলেন। কিন্তু তাঁহার প্রতি প্রধান মন্ত্রী খান দৌরার ও বাদশাহের আন্তরিক বিরাগ বশতঃ দিল্লী হইতে সাহায্য আসিল না। কাজেই নিজামের সহকারী রাজপুতেরা বাজী রাওয়ের শরণাপন্ন হইলেন। কিন্তু নিজামকে শিক্ষা দিবার জন্য বাজী রাও প্রথমে সে দিকে কর্ণপাত করিলেন না।