এদিকে খাদ্যসামগ্রীর অভাবে নিজাম বিশেষ কৃশ হইতে লাগিলেন। তাঁহার পুত্র নাসির জঙ্গনিজামের পরাভব। এই সংবাদ পাইয়া পিতার সহায়তার জন্য সৈন্য সহ ভূপাল অভিমুখে আসিতেছিলেন। কিন্তু বাজী রাওয়ের নিদেশ-ক্রমে তাহার ভ্রাতা চিমণাজী আপ্পা স্বীয় সৈন্যবল সহ নাসিরের গতিরোধ করিতে লাগিলেন। পুত্রের বিলম্ব দেখিয়া নিজাম একবার সাহসপূর্ব্বক বাজী রাওয়ের বূহ্যভেদ করিবার চেষ্টা পাইয়াছিলেন। কিন্তু তাঁহার সঙ্গে গুরুভার যুদ্ধোপকরণাদি থাকায় সে চেষ্টা সম্যক্ ফলবতী হইল না। পরন্তু বাজী রাও সসৈন্যে তাঁহার উপর আপতিত হওয়ায় তিনি ব্যতিব্যস্ত হইয়া ভূপাল দুর্গে প্রবেশ করিলেন। বাজী রাওয়ের নিকট দুর্গ প্রাচীর ভেদকরণোপযোগী আগ্নেয় অস্ত্রাদি না থাকিলেও তাঁহার সৈনিকগণের বাণ ও গুলির বর্ষণে জর্জ্জরিত হইয়া নিজামকে দুর্গের আশ্রয় পরিত্যাগ করিতে হইল। সেই সময়ে বাজী রাও তাঁহার তোপখানা অধিকার করিবার চেষ্টা করায় বহু সংখ্যক মহারাষ্ট্রীয় নিজামের তোপের মুখে উড়িয়া গেল! তথাপি বাজী রাওয়ের অদম্য সেনাদল তাঁহাকে পুনঃ পুনঃ আক্রমণ করিতে ক্ষান্ত হইল না। নিজাম কিছুতেই মারাঠা সৈন্যের অবরোধ ভঙ্গ করিতে পারিলেন না। চতু-
পাতা:বাজী রাও - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/১৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৪
বাজী রাও।