বাজী রাওয়ের সৌজন্য। তাঁহার মুখ হইতে পশ্চাল্লিখিত কথাগুলি বাহির হইল;“আজ পর্য্যন্ত যাহা কখনও হয় নাই, এ সময়ে আমাকে তাহাই করিতে হইল।” এইরূপে যে মালবের সুভেদারী পদে তাঁহার পুত্র অল্প দিন পূর্ব্বে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিলেন, সেই মালবের সমস্ত অধিকার এক্ষণে তাঁহাকে ছাড়িয়া দিতে হইল, ইহা সামান্য ঘটনা নহে। মহারাজের তপোবলে ও পিতৃপুণ্যফলে এই দুষ্কর কার্য্য সাধিত হইয়াছে। নতুবা নবাবের ন্যায় অদ্বিতীয় ক্ষমতা শালীসৌজন্য। ব্যক্তির পরাভব-সাধন কত দূর সম্ভবপর ছিল, তাহা বুঝিতেই পারিতেছ।” বীরজনোচিত শৌর্য্যসাহসের সহিত এইরূপ দর্পহীনতা বাজী রাওয়ের চরিত্রে বহুস্থলে দৃষ্ট হয়। সে যাহা হউক, কোটার রাজা দুর্জ্জনসাল এই যুদ্ধকালে নিজামের পক্ষাবলম্বনে বাজী রাওয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিয়াছিলেন। কিন্তু বাজী রাও যুদ্ধে জয়ী হইলে তিনি আসিয়া তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ ও সখ্যস্থাপন করেন। দুর্জ্জনসালের শাসনাধীন “নহর গড়” দুর্গ মোসলমানেরা অধিকার করিয়া তথায় আপনাদিগের শাসন প্রবর্ত্তিত করিয়াছিলেন। রাজী রাও তাহার উদ্ধারসাধন করিয়া উহা কোটাপতির হস্তে সমর্পণ করেন। ১৭৩৮ খৃষ্টাব্দের মার্চ্চ মাসের প্রারম্ভে এই ঘটনা ঘটে।
পাতা:বাজী রাও - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/১৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৭
বাজীরাও
১৩৭