পাতা:বাজী রাও - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পূৰ্ব্বভাষ ।

স্বের চতুর্থাংশ ব্যয়িত হইত। মহাত্মা শিবাজীর চেষ্টায় মহারাষ্ট্র শক্তি যখন দেশ মধ্যে প্রাধান্য লাভ করিল, তখন মহারাষ্ট্র নরপতিগণ দুর্ব্বল প্রতিবেশী রাজ্যের শান্তি-রক্ষার ও শত্রুর আক্রমণ-নিবারণের ভার গ্রহণ করিতে লাগিলেন। কাজেই সেই আশ্রিত রাজ্যের রাজস্বের চতুর্থাংশ বা চৌথ তাঁহাদিগের প্রাপ্য হইল। ফলতঃ “চৌথ” অপরের রাজ্য- রক্ষার্থ সৈন্যপোষণের বেতন ভিন্ন আর কিছুই নহে।

 এইরূপ বেতন লাভ করিয়া স্বকীয় সৈন্য-পোষণের ব্যয়-ভার লাঘব করিবার কল্পনা প্রথমে শিবাজীই উদ্ভাবিত করেন। তিনি বহু দিন হইতে বিজাপুর ও লকোণ্ডার সুলতানদিগের এবং মোগল বাদশাহের নিকট তাহাদিগের রাজ্য বা রাজ্যাংশ রক্ষার ভার গ্রহণ ও তাহার বেতনস্বরূপ “চৌথ” স্বত্বের প্রার্থনা করিতেছিলেন। পরিশেষে ১৬৬৮ খৃষ্টাব্দে মোগলদিগের আক্রমণের ভয়ে বিপন্ন হইয়া দক্ষিণা- পথের সুলতানেরা শিবজীকে চৌথ-স্বরূপ বার্ষিক আট লক্ষ টাকা দিতে স্বীকৃত হন ও তাঁহার সৈন্যসাহায্য লাভ করেন। সে সময়ে কেবল শিবাজীর সহায়তার ফলেই বিজাপুর ও গোলকোণ্ডা রাজ্য মোগল সম্রাটের সর্ব্বনাশকর আক্রমণ হইতে রক্ষা পাইয়াছিল। এইরূপে উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে সর্ব্বপ্রথম দক্ষিণ ভারতে ‘চৌথ’ প্রথার প্রবর্তন হয়।