হওয়ায় হিন্দুগণের নির্য্যাতন-ভোগের অবসান হয়। বসই দুর্গ অধিকার-কালে দুর্গাধিপতির পরিবারস্থিতা একটী মহিলা মহারাষ্ট্রীয় সৈনিকবৃন্দের হস্তগত হইয়াছিল। কিন্তু চিমণাজী আপ্পা তাঁহাকে সসম্মানে তাঁহার আত্মীয়গণের নিকট প্রেরণ করেন। বসইর খৃষ্টানদিগের মুখে এখনও এ সম্বন্ধে চিমণাজী আপ্পার প্রশংসা শুনিতে পাওয়া যায়।
এদিকে নাদির শাহের প্রস্থানের পর দিল্লীর অবস্থা এরূপ শোচনীয় হইল যে, বাজী রাওবাদশাহের সম্মান। চেষ্টা করিলে, অনায়াসে মোগলদিগের রাজধানীতে মহারাষ্ট্র-বিজয়-পতাকা রোপণ করিয়া মোগলবাদশাহীর বিলোপ সাধন করিতে পারিতেন। কিন্তু তিনি তাহা করিলেন না। দিল্লীশ্বরের প্রতি মহারাজ শাহুর শ্রদ্ধাই ইহার প্রধান কারণ। তদ্ভিন্ন অন্ততঃ কিছু দিনের জন্য দিল্লীর সিংহাসনে সাক্ষিগোপালস্বরূপ একজন বাদশাহকে প্রতিষ্ঠিত রাখাও তাঁহার নিকট রাজনীতিসঙ্গত বলিয়া বোধ হইয়াছিল। এই কারণে তিনি দিল্লীশ্বরের এই বিপন্ন দশাতেও ১০১টী স্বর্ণমুদ্রা উপঢৌকনসহ তাঁহার নিকট এক বশ্যতা-স্বীকারপত্র প্রেরণ করিলেন। বাদশাহ ইতঃপূর্ব্বে নাদির শাহের হস্ত হইতে আত্মরক্ষার জন্য বাজী রাওয়ের সাহায্য প্রার্থনা করিয়াছিলেন। কিন্তু বাজী রাও