আছে, দিল্লী অতিক্রম করিয়া আটক পর্য্যন্ত গমন করাই বাজী রাওয়ের এবারকার অভিযানেরপরলোক প্রাপ্তি। উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তাহা সুসিদ্ধ হইল না। তিনি নর্ম্মদা তীরে উপস্থিত হইলে সহসা তাঁহার স্বাস্থ্য ভঙ্গ হইয়া তিনি নব জ্বরে আক্রান্ত হইলেন। এই জ্বরের আক্রমণ তিনি সহ্য করিতে পারিলেন না। ১৭৪০ খৃষ্টাব্দের ২৮এ এপ্রিল (বৈশাখ শুক্লা ত্রয়োদশী) ৪১ বৎসর বয়ক্রম কালে নর্ম্মদা তীরে তাঁহার জীবন-প্রদীপ নির্ব্বাপিত হইল [১]। মৃত্যু-কালে তিনি তাঁহার প্রিয় সর্দ্দার শিন্দে ও হোলকরকে মোসলমানদিগের শাসনপাশ হইতে ভারতবর্ষের উদ্ধার-সাধন করিবার উপদেশ দিয়াছিলেন। তাঁহার মৃত্যু-সংবাদে সমগ্র মহারাষ্ট্রে হাহাকার পড়িয়া গিয়াছিল। মহারাজ শাহু শোকে অধীর হইয়াছিলেন। তাঁহার আত্মীয়গণের শোকের বর্ণনাই বাহুল্য।
বাজী রাও বিংশতি বৎসর কাল পেশওয়ে পদে কার্য্য করিয়াছিলেন। তাঁহার কার্য্যকালেরতাঁহার চরিত্র। অধিকাংশই যুদ্ধাভিযানে অতিবাহিত হইয়াছিল বলিয়া তিনি রাজ্যের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা বন্দোবস্ত
- ↑ ইতঃপূর্ব্বে ১২১ পৃষ্ঠার ১৯ পংক্তিতে বাজী রাওয়ের মৃত্যুদিবস ভ্রমক্রমে “১৭ই এপ্রিল”-রূপে মুদ্রিত হইয়াছে।