শান্তিনাশ করিয়াছেন, তাঁহারা আজ কোটী কোটী মুদ্রার অধিকারী হইয়াছেন, আর আমি অভাগা আজীবন তোমার ও প্রভুর (মহারাজ শাহুর) চরণে কায়মনঃ-সমর্পণ-পূর্ব্বক নিষ্কপটভাবে কার্য্য করিয়া আজ অন্নের কাঙ্গাল হইয়াছি!” ফলতঃ বাজী রাও চিরজীবন নিঃস্বার্থভাবে দেশের কার্য্য করিয়া সাধারণের যে ভক্তি ও প্রীতি আকর্ষণ করিয়াছিলেন, তাহা অনেকেরই চক্ষুঃশূল হইয়াছিল। নচেৎ তিনি কখনও কাহারও অনিষ্ট সাধন করেন নাই; বরং যে সকল সর্দ্দার সর্ব্বদা তাঁহার বিদ্বেষ করিতেন, তিনি দেশের মঙ্গলের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া তাঁহাদিগের সহিত মৈত্রীস্থাপন করিতেও বিরত হন নাই।
দেশ হইতে যবন-শাসনের উচ্ছেদ করিবার জন্য বাজী রাওকে অতিরিক্ত সৈন্যপোষণ করিয়াতাঁহার ঋণ। বিষম ঋণজালে জড়িত হইতে হইয়াছিল। দেশের সর্ব্বোৎকৃষ্ট সৈনিকদিগকে সংগ্রহ করিবার জন্য তিনি প্রায়ই অতিরিক্ত অর্থব্যয় করিতেন। সময়ে সময়ে ঋণের জন্য তাঁহাকে কিরূপ বিপন্ন হইতে হইত, তাহা নিম্নে অনূদিত পত্র হইতে পাঠক বুঝিতে পারিবেন,—
শ্রীমৎ পরমহংস পরশুরাম বাবা স্বামীজীর শ্রীচরণেষু।