পাতা:বাজী রাও - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫৬
বাজী রাও।

জীর হস্তে যে আশীর্ব্বাদপত্র প্রেরণ করিয়াছেন, তাহা পাইয়াছি। বাবা! তুমি নিজে সন্ন্যাসী হইয়াছ, আর আমাদিগকে সংসার প্রপঞ্চে ফেলিয়া রাখিয়াছ। সেই প্রপঞ্চে পড়িয়া লাভের মধ্যে আমার ২০ লক্ষ টাকা কর্জ্জ হইয়াছে; ঋণদাতাদিগের নরককুণ্ডে পড়িয়া আমি পচিতেছি। এই জ্বালা সহ্য করিতে অসমর্থ হইয়া গত বৎসর যখন “পিম্প্রী”তে তোমার সহিত সাক্ষাৎ হয়, তখন সমস্ত কার্য্যের ভার তোমার হস্তে অর্পণ-পূর্ব্বক নিঃসঙ্গভাবে দেবার্চ্চনায় মনোনিবেশ করিবার সংকল্প আপনাকে জ্ঞাপন করিয়াছিলাম। তখন আপনি কৃপা-পূর্ব্বক এই বলিয়া আশ্বাস দিয়াছিলেন যে, “ভার্গবের চরণে যখন তোমার ভক্তি আছে, তখন নিশ্চয়ই তুমি সর্ব্বত্র বিজয়ী হইয়া বহু অর্থলাভ করিবে, তোমার ঋণ শোধ হইবে। ভার্গব তোমার সাহায্যকারী হইয়াছেন।” সেই আশ্বাসের উপর নির্ভর করিয়া এতদিন ধৈর্য্য ধারণ করিয়াছিলাম। কিন্তু ফলে কিছুই হইল না, যশোলাভ ভিন্ন এক কপর্দ্দকও ধনলাভ হইল না। এখন প্রতাহ আমাকে ঋণদাতাদিগের পায়ে ধরিতে হয়। শিলেদারদিগের পায়ে পড়িতে পড়িতে আমার কপালের চামড়া ক্ষয়িত হইয়া গেল। আর এরূপ সুখে আমার কাজ নাই। তুমি আইস ও নিজের কার্য্যভার নিজে গ্রহণ কর। অথবা সর্ব্বসঙ্গপরিত্যাগ করিয়া— তোমার নিকট গমন করিতেছি। তোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে যদি এই বৎসরের মধ্যে আমাকে রাজার ও মহাজনের ঋণ হইতে মুক্ত করিস, ত ভাল; নচেৎ তোর দেবতার সমক্ষে প্রাণত্যাগ করিব। তোর সন্তানকে ঋণ মুক্ত করিবি এরূপ আশ্বাস যদি পাই, তবে আরও ৮/১০ মাস জীবন ধারণ করিব। এই কথার মধ্যে যদি কোনও কপটতা থাকে, তবে তোরই দিব্য। অথবা তুই কেমন দেবতা যে, আমার মনের কপটতা বা