নির্ম্মলতা বুঝিতে পারিতেছিস্ না। তুই যখন আমার বেদনা বুঝিলি না, তখন আমিই বড় ভাগ্যবান্! আমাদের লজ্জা রক্ষা করা তোরই কর্ত্তব্য। যদি লজ্জা থাকে, তবে আমার উদ্ধার করিয়া ব্রাহ্মণের অবশিষ্ট কার্য্য (অর্থাৎ ধর্ম্মরাজ্য প্রসার দ্বারা স্বধর্ম্ম-রক্ষা) আমার দ্বারা করাইয়া লও। আর যদি তাহা না করিস্, তবে আমার গরিবের উপর রাগ করিতেছিস্ কেন? তোর কার্য্য-ভার তুই ফিরাইয়া নে, এবং আমাকে এ প্রপঞ্চ হইতে মুক্তি দান কর্। আমি অন্য কোনও দেবতার সেবা করিবার চেষ্টা দেখি গে!”
বাজী রাও দেশের কার্য্য করিবার জন্য জন্ম পরিগ্রহ করিয়াছিলেন, দেশের কার্য্য করিতেইপারিবারিক সুখ। তাঁহার জীবনপাত হইয়াছিল। তাঁহার কার্য্য-কলাপে সমগ্র মহারাষ্ট্র দেশ গৌরবান্বিত হইয়াছিল। ভগবানের অনুগ্রহে তিনি স্বীয় স্বভাবের অনুরূপ ভ্রাতা পাইয়াছিলেন। চিমণাজী আপ্পার ন্যায় শৌর্য্যশালী অনুগত ভ্রাতা অতি অল্পলোকের ভাগ্যে ঘটিয়া থাকে। তাঁহাদিগের সৌভ্রাত্র সকলেরই অনুকরণীয় ছিল বলিয়া শ্রীমদ্ ব্রহ্মেন্দ্র স্বামী তাঁহাদিগকে রাম-লক্ষ্মণের সহিত তুলিত করিতেন। বাজী রাও গণপতির উপাসক ছিলেন। তাঁহার অলৌকিক সৌন্দর্য্যের সম্বন্ধে মহারাষ্ট্রে কয়েকটি আখ্যায়িকা প্রচলিত আছে। তাঁহার ভাগ্যে গুণবান্ ভ্রাতার ন্যায় গুণবতী ভার্য্যারও সমাবেশ হইয়াছিল। তদীয় সহধর্ম্মিণী