যাইত। এ সংবাদ মহারাজ শাহুর কর্ণগোচর হইলে তিনি পাত্রমিত্রগণ সহ তাঁহার নিকট গিয়া তদীয় ক্রোধোপশমের চেষ্টা করিতেন।
বাজীরাও ও চিমণাজী আপ্পার প্রতি ব্রহ্মেন্দ্র স্বামীর বিশেষ স্নেহ ছিল। স্বরাজ্যের হিতসাধনে ও হিন্দু-ধর্ম্ম-রক্ষায় তাঁহাদিগের আগ্রহ দেখিয়া তিনি তাঁহাদিগের বিশেষ পক্ষপাতী হইয়াছিলেন। তিনি বাজী রাওকে প্রভূত অর্থ ঋণস্বরূপ দান করিয়াছিলেন। বালাজী বিশ্বনাথও তাঁহার নিকট অর্থ সাহায্য লাভ করিতেন। বাজী রাও যে সকল সমরাভিযান করিয়া স্বরাজ্য-বৃদ্ধি ও মোসলমান শক্তি খর্ব্ব করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, তাহা, স্বামীজীর নিকট যথাসময়ে অর্থ সাহায্য না পাইলে, তাঁহার পক্ষে কতদূর সম্ভবপর হইত, বলা যায় না।
স্বামীজী প্রতি বৎসর শ্রাবণ মাসে সমাধিস্থ হইতেন এবং পূর্ণ এক মাসকাল যোগাবলম্বনপূর্ব্বক ভাদ্র শুক্লা চতুর্থীর দিনে গুহা ত্যাগ করিতেন। তাঁহার সমাধিবিসর্জ্জন-কালে মহারাজ শাহু স্বীয় সদস্যবর্গসহ তথায় উপস্থিত হইতেন। বাজী রাও ও চিমণাজী আপ্পার মৃত্যুর পর হইতে তাঁহার স্বাস্থ্য ভঙ্গ হইতে আরম্ভ হয়। বাজী রাওয়ের মৃত্যুসংবাদ শুনিয়া তিনি কয়েক দিন গোমূত্র ও তক্র ত্যাগ করিয়াছিলেন। ১৭৪১ খৃষ্টাব্দের প্রারম্ভে চিমণাজী ইহলোক ত্যাগ করিলে স্বামীজী রাজনীতিক ব্যাপার হইতে অবসর গ্রহণ করেন। ইহার অল্প দিন পরে তাঁহার মৃত্যু হয়।