দ্বিতীয় অধ্যায়।
বাল্যশিক্ষা—নানা অভিযানে পিতার সাহচর্য্য—
দিল্লীগমন— পিতৃবিয়োগ।
রাজধানী সাতারায় বাজী রাওয়ের শিক্ষারম্ভ হয়। কারকুনের পুত্র তৎকাল প্রচলিত লেখা পড়ায় বিশেষ দক্ষতা লাভ করিয়াছিলেন, তাহা বলাই বাহুল্য। তবে বর্ত্তমান কালের ন্যায় সেকালে লেখা পড়াবাল্য-শিক্ষা। শিক্ষাই বাল্যজীবনের একমাত্র লক্ষ্য ছিল না। বালকগণের মানসিক শক্তির বিকাশের দিকে আমাদের পূর্ব্বপুরুষেরা যেরূপ দৃষ্টি রাখিতেন, তাহাদের শারীরিক শক্তিসমূহের পরিস্ফূর্ত্তির দিকেও তাঁহাদিগের সেইরূপ যত্ন থাকিত। বরং পুস্তকগত বিদ্যা কণ্ঠস্থ করিয়া পণ্ডিত উপাধিলাভ অপেক্ষা পুরুষোচিত গুণগ্রাম লাভ করিবার দিকে তাঁহারা সমধিক মনোযোগ করিতেন। বিশেষতঃ বাজী রাও যে সময়ে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, সে সময়ে এদেশে বীরত্বের বড় গৌরব ছিল। এই কারণে বালাজী বিশ্বনাথ স্বীয় পুত্রকে পুস্তক-লেখনী-গতা বিদ্যার