পাতা:বান্ধব - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জৈষ্ঠ, ১২৮২ । ) শিক্ষণ ৰুচিকে কিরূপ পরিশোধিত ও পরিমার্জিত করে, তাছার নিদর্শনবাহুল্য নিম্প্রয়োজন। যে লৌহখণ্ড খনি হইতে এই মাত্র উত্তোলিত হইল, তাহাও লৌহ, এবং যাহা নিপুণকাৰুকরের হস্তে পুনঃ পুনঃ শোধিত ও পুনঃ পুন: মার্জিত হইয়া এইক্ষণ স্বকীয় প্রভায় রজতপ্রভাকেও পরিহাস করিতেছে, তাহাও লৌহ । কিন্তু উছাকে স্পর্শ করিতেও লোকের অবজ্ঞা জন্মে, আর ইহাবীরজনবহুতে অমূল্য ভূস্বণের ন্যায় মণিমুক্তার সহিত বিলম্বিত হয় । অঙ্গার ও হীরক একই প্রদার্থের বিভিন্ন রূপ বলিয়াই কথিত হইয়া থাকে। অথচ উভয়ে কত অন্তর, তাহ চাহিয়া দেখ। পারিসের সুশিক্ষিতা নবীন এবং সাওর্তাল কি গারোজাতীয় অশিক্ষিত যুবর্তী প্রকতিতে পরম্পর বহুদূরবর্তিনী নহে। কিন্তু উভয়ের কচিগত পার্থক্যের প্রতি দৃষ্টি করিলে কে ইছ দিগকে একজাতীয় জীব বলিয়া স্বীকার করিতে পারে ? অাভরণপ্রিয়তা উভয়েতেই সমান বলবতী এবং উভয়েই সমান রূপাভিমানিনী । প্রশংসার কলকণ্ঠও উভয়কে সমানরূপে অভিভূত করে। তথাপি শিক্ষণর শোধনী-প্রক্রিয়ায় উভয়ে এইক্ষণ এতই প্রভেদ জম্মিয়াছে যে, একটি স্মরলোকবিছারিণী বিদ্যাধরী এবং আর একটি পিশাচের প্রণয়সহচরী। সুশিক্ষিত ও অশিক্ষিত, উভয় শ্রেণিস্থ লোকই গীত,

  • বাদ্য ও স্বত্যাদিতে তুল্য অনুরক। কিন্তু

সুশিক্ষিত সমাজে গীতের নাম স্বরক্ষুধা, প্রকৃতিভেদে রুচিভেদ

  • OS

অশিক্ষিতসমাজে গীতের নাম কৰ্ণপীড়া ; সুশিক্ষিতসমাজে বাদ্যযন্ত্রের নাম বীণ কি পিয়ানে,অশিক্ষিতসমাজে বাদ্যের নাম ঢঙ্কা কি ভগ্নকাংস ; সুশিক্ষিত সমাজে স্থত্যের নাম লাস্য কি লীলাতরঙ্গ, অশিক্ষিত স মাজে স্থত্যের নাম লম্ফ ঝঙ্ক কি প্রতিবেশীর নিদ্রাভঙ্গ । কবিতায়ও এইরূপ । সুশিক্ষিতেরা যে কবিতায় আদর করেন, তাছাতে কল্পনার বৈচিত্র্য থাকে, অথচ কলঙ্কের পক্ষ দৃষ্ট হয় না ; অলঙ্কার ও রসমাধুরীর প্রাচুর্ঘ্য থাকে, অথচ সে অলঙ্কার চক্ষুতে কণ্টকবৎ বিদ্ধ ছয় না, সে রস আত্মাকে আণবিল করে না । পক্ষান্তরে গ্রাম্যৰ চিলিশিট অশিক্ষিত ব্যক্তিরা যে কবিতা লইয়ণ প্রমত্ত হন, তাছাতে কল্পনা না থাকুক কর্দম থাকে, এবং রস ও অলস্কার না থাকুক ঝাল ও ঝঙ্কার থাকে । ! কর্ণাটরাজমহিষী এইরূপ কবিদিগকে কপি বলিয়াছিলেন ; বঙ্গে ইহাদিগকে কেছ কবিওয়ালা ললে এলং কেছ কলিকুলের কালিমা কিংবা কবিকুঞ্জের কাক বলে । এইস্থলে কেহ এইরূপ আপত্তি করিতে পারেন যে, যদি শিক্ষার এতই মা হাত্মা থাকিবে,তবে র্যাহীর সুশিক্ষিত বলিয়া লোকের নিকট পরিচয় দিয়া থাকেন র্তাহাদিগের ৰুচিও অনেক সময় নিতান্ত অধোগতি প্রাগু ছয় কেন ? তাছাদিগের মধ্যে অনেকে, জ্বলন্তবন্ত্রিরপিনী দময়ন্তীর পবিত্ৰ কাহিনী শ্রবণ করিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করিয়া, বিদ্যাসুন্দরের কুৎসিত যাত্রা