পাতা:বান্ধব - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ, ১২৮২ । ) পলাসির বুদ্ধ । ☾ ❍ হয়, এবং ভয়াবহ তরঙ্গমাল স্বজন করিয়া ! ভারতের মানচিত্রকে পুনরায় কবির চক্ষে তটভূমি প্রকম্পিত করে, অনেকে প্রকৃতির মহিমায় মুগ্ধ হইয়া তাদৃশ স্থানকে বৈজ্ঞানিকের দৃশ্যস্থান বলিয়। আদর করেন । এই গণনায়, পলসির ক্ষেত্র মন্থণতীর্থ ও মহাদৃশ্য । স্পর সম্মিলিত হয় ; এখানে প্রাচীন সভ্যতা ও আধুনিক উন্নতি এই দুই প্রতিকূল স্রোত পরম্পর পরম্পরকে আঘাত ও প্রতিঘাত করে ; এখানে বংশপরম্পরায় সহস্রকোটি লোকের ললাটলেখার পরীক্ষণ হইয়া যায় ; এখানে দুই মহাদেশের দুই ইতিহাস, ক"লের এক কুক্ষিতে যুগপৎ নিমজ্জিত হুইয়া, একীভূত স্বতনমূৰ্ত্তিতে ভলিয় উঠে ; এবং বঙ্গভূমি, ভারতবর্য ও সমস্ত এসিয়া-ভূখণ্ডে এইক্ষণ যে পরিবর্তনের চক্র আলিরাম গতিতে অহৰ্নিশ চলিতেছে, প্রকৃতপ্রস্তাবে এখানেই তাহ প্রথম চালনা পায় । যদি ইতিহাসে পলাসির যুদ্ধ না থাকিত, তবে এদেশের অবস্থা এইক্ষণ কিরূপ হুইত, তাহা চিন্তা করাও কঠিন । লোকে এইক্ষণ যে যুগান্তপ্রলয় ও অভিনব স্বটি দেখিয়া কখনও আশায় উৎফুল্ল, কখনও বিষাদে অবসন্ন হইতেছে, তাছার চিহ্নও কুত্রাপি পরিলক্ষিত হইত কি না, সন্দেহের কথা । বস্তুতঃ সমালোচ্যগ্রন্থে পলাসির যুদ্ধ যে ভাবে কম্পিত হুইয়াছে, তাছা অতি উচ্চ শ্রেণীর কল্পনার পরিচয় দেয়, এবং সমগ্রচিত্রটিকে হৃদয়ে গ্রহণ করিতে হইসে ইতিছাসশৈলের উৰ্দ্ধতম শৃঙ্গে আরোহণ করিয়া এখানে পূৰ্ব্ব ও পশ্চিম পর- ; নিরীক্ষণ করা আবশ্বক হয় । নছিলে, পলাসির যুদ্ধ কিছুই নছে । আমরা শুদ্ধ কম্পিত বিষয়ের উচ্চত, প্রসার ও অতুলগৌরব স্মরণ করিয়াই কবির প্রশংসা করিতেছি না। এই কল্পনায় নবীন বাবুর তার একটি বিশেষ প্রশংসা আছে । তিনি যে পথে গমন করিয়াছেন, সে পথে কেহই তাছার পূৰ্ব্বে পদক্রম করেন নাই। তিনি যে “ মণিপূর্ণ খনিতে’ সাহসসহকারে প্রপিট হইয়াছেন, তাহীর অভ্যন্তরে কেহই উপহার জন্ম আলোকবৰ্ত্তিক স্থাপন করেন নাই । বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাস প্রভৃতির সময় হইতে এদেশে যিনিই যে কোন কাব্য প্রণয়ন করিয়াছেন, তিমিই একটি পুরাতন অবলম্ব পাইয়াছেন । কেহ পুরাণ ফুলে নূতন মালা থিয়াছেন; কেহ নুতন ফুলে পুরাণ স্বত্র ব্যবহার করিয়াছেন । নবীন বাবুর তাহ হয় নাই । র্তাহার যুবলম্ব স্বহৃদয় ও স্বকীয় কল্পনা মাত্র । উপহার জন্য বাল্মীকিও মণি লেপ করিয়া যান নাই, এবং কবিকপপাদপ ব্যাসদেবও অনস্তরত্বরাশি সাজাইয়া রাখেন নাই। উহাকে প্রায় সমস্তই স্বহস্তে সথয়ন ও স্বহস্তে গ্রন্থন করিতে হুইয়াছে । ইহা সামান্য অভিমানের কথা নহে। গ্রন্থ খানিতে যদিও আধুনিক রীতানুসারে একটি বিজ্ঞাপন সংযোজন করিয়া দেওয়া হয় নাই, কিন্তু কবি আশীর সম্বোধনচ্ছলে দ্বিতীয় সর্গের সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শোকে