(? 8 মনের বিনয়চ্ছন্ন অভিমান ও অভিমানচ্ছন্ন ভয় অতি সুকৌশলে পরিব্যক্ত করিয়া ছেন । আমর। তাছার অভিমানকে সৰ্ব্বন্তঃকরণে ক্ষম। করি, এবং তাছার আশ। খে স্তুরাশ নক্ষে, ইহাও সরলদ্ধদয়ে বিশ্বাস করি । র্যাছার রূপায় শ্রাজি বঙ্গে মধুম্বদন প্রভূতির নাম লোকের কণ্ঠে কণ্ঠে বিচরণ করিতেছে, তিনি নবীন বাবুর প্রতি অপ্রসন্ন নছেন । পলাসির যুদ্ধ কাব্য অনতিবৃহৎ পাঁচটি সর্গে বিভক্ত । ইহার প্রথম সর্গে নবাববিদ্রোম্বিদিগের ষড়যন্ত্র ও কূটমন্ত্রণ, দ্বিতীয় সর্গে ব্রিটিশ-সেনার শিবিরসন্নিবেশ, তৃতীয় সর্গে পলাসিক্ষেত্রের বর্ণনপ্রসঙ্গে সিরাজদ্দৌলার তদানীন্তন অবস্থাবর্ণন ইত্যাদি, চতুর্থ সর্গে যুদ্ধ এবং পঞ্চম সর্গে শেষ আশ অথবা সিরাজদ্দৌলারশোচনীয় উপাংশুদ্ধত্য। প্রখম সর্গের অগ্রস্তু যেমন গম্ভীর, তেমনই মনোহর। বোধ হয়, মেঘনাদ বধের অপরন্ত বিম" বাঙ্গালীর কোন কণব্যের প্রারস্তবর্ণনাতেই এইরূপ ভয়ঙ্কর গম্ভীর্য এবং এইরূপ পরিমান মনোহারিন প্রদর্শিত ছয় নাই । অভ্ৰভেদি পৰ্ব্বত কি অনন্তবিস্তারিত সমুদ্রাদির বর্ণমাতে মনে এক গাম্ভীর্ষ্যের আবেশ স্বয় । ইহা সেই রূপ গম্ভীর্ষ্য মছে । কোন অলৌকিক রূপলাবম্ববতী অঙ্গন, কি মৃদুবাহিনীত্রোতস্বিনী, কিংবা সরোবিলাসিনী ফুল কমলিনী প্রভৃতির বর্ণমাতেও উৎকৃষ্ট করিয়া =লম্বল । ( छाछै, s२५-२ ।। মনোহাfরত্ব স্বজন করিতে পারেন । এই মনোহাfরত্বও সেই প্রকারের নহে। যদি কোন প্রতিভাশালী চিত্রকর বিষাদের প্রতিমূৰ্ত্তি আঁকিয়া তুলিতে সমর্থ হইতেন, এবং সেই মূৰ্ত্তিতে আতঙ্ক ও অাশ৷এই উভয়েন্ম বিরোধ এবং শোকের মলিনত ভাল রূপে ফলাইতে পারিতেন, তবে তাছাকেই ইহার উপমাস্থল বলিয়া নির্দেশ করিতাম । পড়িবার সময় প্রতীতি হয়, যেন প্রকৃতি আপনি জাসিয়া আজন্মদুঃখিনী বঙ্গভূমির দুঃখে কৰুণকণ্ঠে বিলাপ করিতেছেন, আর মৃত্ত সংসার ভয়ে, বিস্ময়ে, এবং শোকজ্জরে শুস্তিত হইয়। অনন্যমনে ও অনন্তকর্ণেসেই বিলাপ শ্রবণ করিতেছে । দিগন্তব্যাপি অন্ধকারের বর্ণনায় এই অংশে একটি আশ্চৰ্য্য পংক্তি কবির লেখনী হইতে হঠাৎ স্থলিত হইয়াছে ;– * তিমিরে অনন্যকীয় শূন্য ধরাতল ? সংস্কৃতে অনুবাদ করিলে এই পংক্তিটিকে মহাকবি ভারবির নিম্নোদ্ভূত প্রসিদ্ধ শোক:দ্ধের সঙ্গে অকুতোভয়ে গণথিয়৷ দেওয়া যাইতে পারে ।
- ভবতিদীপ্তিরদীপিত্তকন্দর। তিমির সংবলিভেব বিবস্বভঃ ** এই সর্গের মধ্যে কিছু দূরে প্রবিষ্ট হুইলে যবননিপাতের নিদানভূত ভারতবিখ্যাত জগৎসেঠের নিভৃতমন্ত্ৰভবন । এই মন্ত্রণাচিত্রে অনুরুতির কিঞ্চিৎ ছায়। আছে । সঁাছার মিল্টনের স্বর্গভ্রংশকাব্যের দ্বিতীয়সর্গে পাণ্ডিমোনিয়মের সেই লোম
