অtষাঢ়, ১২৮২ । ) ডুবে শোকজলে, অশ্রু ঝরে হ্রনয়নে, যেই খানে মোগলের মুকুটরতন খসিয়া পড়িল আহা ! পলাসির রণে ; সেই খানে চিরকচি স্বাধীনতা-ধন হারাইল অবহেলে পাপায় যবনে ; দুৰ্ব্বল বাঙ্গালি আজি সজল ময়নে গাবে সে দুঃখের কথা; তবে হে কপনে!”
- অতিক্রমি সাস্ত্রীদল,-যন্ত্রীদল মাঝে গাইছে যথায় যত কোকিল-গঞ্জিনী বিদ্যুতবরণী বামা ; মনোহর সাজে নাচিছে নৰ্ত্তকীৱন্দ মানসমোহিনী, ডুবিয়া ডুবিয়া যেন नक्रीडनौदह :পশি সশঙ্কিতে সেই সিরাজশিবিরে, সাবধানে, সশঙ্কিতে, কম্পিত অস্তরে, ন। বহে নিশ্বাস যেন অতি ধীরে ধীরে, কহ সখি ! কহ দুঃখ-বিকম্পিত-স্বরে, শত বৎসরের কথা বিষন্ন অস্তরে । "
উল্লিখিত প্রগম কবিতাটির প্রথমাৰ্দ্ধ পড়িবার সময় মনে সৰ্ব্বাগ্রে ইহাই ধারণ। ছয় যে, কবি একজন অতীব সহৃদয় এবং অতি প্রগাঢ় চিন্তাশীল ব্যক্তি । তিনি কল্পনা-যোগে সেই ভারতবিশ্রাত পলাসিপ্রাঙ্গণে উপস্থিত হইয়াছেন, এবং উপস্থিত হইয়াই চিন্তাবেশে অবসন্ন হুইয়া পড়িয়াছেন । তাছার মন আর উtহাতে নাই হৃদয়ে গভীর শোকসিন্ধু উথলিয়৷ উঠিয়াছে এবং শোকবশে নয়নযুগল ছইতে দর দর ধারে নিঃশব্দ অশ্রুধারণ লি পলাসির श्वतः । > * এশোক কি ?—ন মোগলের দুঃখে দুঃখ, ' শত্রুর জন্য সহানুভূতি, উৎপীড়কের জন্য উৎপীড়িতের সকরুণ খেদ, অথব কারণ বিন কাৰ্য্য । ভাল, শোকের শ্রেীতই প্রবাহিত ছউক । অকস্মাৎ আবার ক্রোধের স্ফূৰ্ত্তি কোথা হইতে ? যদি মোগলের দুঃখেই দ্রবীভূত হইয়া থাক, তবে আবার তাহ্মণকে ‘পাপীষ্মা’ ও ‘যবন* ধলয়। তি রস্কার কর কেন ? অার বাঙ্গালিয়ই ল? সেই প:পাতু যবনের নিপাত-গীত গাইতে বি শেষ দুঃখ কি ? পাঠকের চিত্ত এইরূপ লিলিঙ্গ প্রশ্নে বিলোড়িত হইতেছে এবং কবি-কল্পনার ন্তরতম প্রদেশে প্রবিষ্ট হুইয়া মীমাংসার অনুসন্ধান করিতেছে, ইহার মধ্যেই সহস। এক মুহন কথা। কোথায় কৌটিকল্প লোকের অদৃষ্টের ফলাফল-গণন", আর কোথায় রূপসীৱন্দের রূপের তরঙ্গ । কিন্তু কবি যেই ভারতের ভাগ্যস্থত্র করে ধাবণ করিয়া নবাব সিরাজদ্দৌলার শিবিরস্থ পিলাস গৃছে ধীরে ধীরে প্রবেশ করিলেন, অমনি সকল কথা পাসরিলা একেপারে সেই পিল’স-সরণীতে ভাসিয়া গেলেন। তখন, যার মুখপানে চাহি হেন মনে লয় ; এই রূপবতী নারী রমণীর মণি, ফিরে কি নয়ন আছে। ! ফিরে কি হৃদয় । বীরেক নিরখি এই হীরকের খনি ? * • মিলাইয়। সগুস্থর সুমধুর ব পতিত হইতেছে। ইহার পরই জিজ্ঞাস, বাজিতেছে বিমোহিত করিয়া শ্রবণ ;
