পাতা:বামারচনাবলী - প্রথম ভাগ.pdf/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বভাব বর্ণন । ২৩৯ গুলি বেণিয়া-মশলা মিশাইয়া সিদ্ধ করিয়া একটা মেরির পুটলি সেই জলে ভিজাইয়া উক্ত রোগীকে পণন করিতে দিতেন । সেই উষ্ণ জল পান করাতে ক্রমে পিপাসা বলবতী হইলে তাহাকে সেই জল না দিয়া মানকচুর পাতার রস পান করিতে দিতেন । ঐ সকল কদৰ্য্য জল পান করাতে পীড়িত ব্যক্তি ত্বরায় বিকার প্রাপ্ত হইয়া যখন নিদাৰুণ পিপাসায় শুষ্ককণ্ঠ হইয়া একেবারে মৃতপ্রায় হইত, তখন কেঁচো লবণে জরাইয় তাহারই রস পান করিতে দেওয়া বিধি হইত, তথাপি নিৰ্ম্মল জল এক বিন্দু উল্লিখিত রোগীর বদনে দিতে কাহার সাহস হইত না ; পাছে নিৰ্ম্মল সুশীতল জল পান করিলে পীড়াতুর ব্যক্তির জীবন নষ্ট হয়! কিন্তু তাহারা যে ভয়প্রযুক্ত রোগীকে জলে বঞ্চিত করিতেন, পরে তাছাই ঘটিত । হা ! তখন রোদনের নিতে পৃথিবী কম্পমান হইয়া উঠিত। অনন্তুর কতক গুলি প্রতিবেশিনী স্ত্রীলোক আসিয়া তাহার পরকাল নিস্তারের নিমিত্ত গঙ্গা যাত্রার পরামর্শ দিতে তিল মাত্র সঙ্কুচিত হইতেন না। আহা ! নিষ্ঠুর পরিজনবর্গও সেই উপদেশ যুক্তিসিদ্ধ ও উচিত মত বোধ করিয়া ক্ৰন্দন ও বিলাপ করিতে করিতে তাহাকে জাহ্নবীর তীরে লইয়া তিনবার জলে ২১