ጏ ዓ বা মুলের মেয়ে চিকিৎসা করিতে শিখিয়াছিল এবং তাহার দেওয়া ঔষধ প্রায় নিলেও হইত না । কিন্তু গুরুটিকে রোগীরা যমের মত ভয় করিত। তাই তাহারা সতর্ক হইয় খোজ-খবর লইয়া এমন সময় বাড়ী ঢুকিত, যেন হঠাৎ মুখুয্যেমশায়ের হাতের মধ্যে গিয়া না পড়িতে হয়। সন্ধ্যা ইহা জানিত, কিন্তু বাবার জন্য মিথ্য। বলিতে তাহার বাধিত না । কিন্তু পিতা একেবারে ব্যতিব্যস্ত হইয়া উঠিলেন--ফিরে গেল ? কে কে ? কার কারা ? , কতক্ষণ গেল ? কোন পথে গেল ? নামধাম জেনে নিয়েচিস্ত ? সন্ধ্যা মনে মনে অত্যন্ত লজ্জা পাইয়া কহিল, নাম-ধামে আমাদের কি দরকার বাবা, তার আপনিই আবার আসবে অখন। । আঃ, তোদের জালায় আর পারিনে বাপু । নামটা জিজ্ঞেস করতে কি হয়েছিল ? এখুনি ত একবার ঘুরে আসতে পারতুম। দেরীতে কঠিন দাড়াতে পারে—কিছুই বলা যায় না, - এখন একটি ফোটায় যে সারিয়ে দিতুম ! o - সন্ধ্য। নীরবে তেল মাখাইতে লাগিল, কিছুই বলিল না । পিতা পুনরায় প্রশ্ন করিলেন, কখন আসবে বলে গেল ? বিকেলবেলায় হয়ত— হয়ত! দেখ দিকি কি রকম অন্যায়টাষ্ট হয়ে গেল ! ধর, যদি কোনগতিকে নাই আসতে পারে? ওরে—ও সন্ধ্যে, বিপনের কাছে গিয়ে পড়ল না ত? পরাণে হারামজাদ ত ঐ খোষ্টে থাকে, সে ভ এর মধ্যে খবর পায়নি ? না বাপু, আর পারিনে আমি। বাড়ীতে কি হাই ছুটি মুড়ি-মুড়কিও ছিল না ? হুটো দুটাে দিয়ে কি ঘন্টাখানেক বসিয়ে রাখতে পারতিস্নে ? যা না বলে দবো, যেটি না
পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।