বামুনের ময়ে \లి? পাচশ আর তিনশ–এই আটশ জাহাজে তুলে দিয়ে তবে এলুম। ঃ—কি হাঙ্গামা ! দক্ষিণ আফরিকায় ছাগল ও ভেড়া চালান দিবার গোপন কারবারে এই বিষ্ণু চোঙদার ছিল তাহার অংশীদার। তিন মাসের মধ্যে তিন হাজার পশু জোগান দিবার সৰ্ত্তে লেখাপড়া হইয়াছিল । ভাই খবরটা শুনিয়া গোলক খুশি হইলেন না। অ-প্ৰসন্ন-মুখে বলিলেন, মোটে আটশ ? কনটাক্টে ত তিন হাজারে—এখনো ত ঢের বাকি হে ! চোঙদার ক্ষুব্ধ হইয়া কহিলেন, ছাগল-ভেড়া কি আর পাওয়া যাচ্ছে বড়কৰ্ত্তা, সব চালান, সব চালান—এই আটশ জোগাড় করতেই যেন জিব বেরিয়ে গেছে। তবু ত হরেন রামপুর থেকে চিঠি লিখেচে, আট-দশদিনেই আরও পাচ-সাতশ রেলে পাঠাচ্ছে— বে বল নাবিয়ে নিয়ে জাহাজে তুলে দেওয়া । আর সময় ত তিন মাসের–হয়েই যাবে নারায়ণের ইচ্ছেয় । গোলক আশ্বস্ত হইয়া বলিলেন, তোমার উপরেই ভরসা । আমাকে ত এখন একরকম গেরস্ত-সন্ন্যাসী বললেই হয়—তোমার বৌঠাকরুণের মৃত্যুর পর থেকে টাকা-কড়ি, বিষয়-আশয় একেবারে বিষ হয়ে গেছে। কেবল ঐ নাবালক ছেলেটার জন্তো—ভা টাকায় টাকা উতোর পড়বে বলে মনে হয় না ? চোঙদার ঘাড় নাড়িয়া বলিলেন, নিশ্চয়, নিশ্চয় । কিন্তু টাকাট পিটবে এবার আহম্মদ সাঙ্গেব । সাতশোর কনটাক্টো পেয়েচে— আরও বেশি পেতে, শুধু সাতস করলে না টাকার অভাবে । । গোলক চোখের একটা ইঙ্গিত করিয়া প্রশ্ন করিলেন, বড় নাকি? চোঙদার বলিলেন, হু-—নইলে আমি ছেড়ে দিই ! গোলক ডান হাতটা মুখের সম্মুখে তুলিয়া বলিয়া উঠিলেন,
পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।