বামুনের মেয়ে 8 a জবাব দিল, পছন্দ কেন হবে না ঠাকুর্দা ? দড়ির খাটের চতুৰ্দোলায় চেপে আসবেন এইদিক দিয়ে, আমি মালা গেঁথে দাড়িয়ে থাকবে। তখন। এই বলিয়া সে দ্রুতপদে খিড়কির দ্বাব দিয়া বাহির হইয়া গেল। সে যে ভয়ানক রাগ করিয়া গেল তাহ অত্যন্ত মুস্পষ্ট। ব্যর্থ পরিহাসের এই তীব্র লাঞ্ছনায় প্রথমটা গোলক অবাক্ হইয়া গেলেন, পরে হাঃ হাঃ করিয়া খানিকটা কাষ্ঠঙ্গাসি হাসিয়া কহিলেন, মেয়ে ভ নয়, যেন বিলিতি পলটন । এ না হয় দাদী-নাতনী সম্পর্ক—বলতেও পারে, কিন্তু সেদিন রাসুর মুখে শুনলাম নাকি যা মুখে এসেচে তাই বলেচে । মা-বাপ পৰ্য্যন্ত রেয়াৎ করেনি । গোড়ায় জগদ্ধাত্রীর ঠিক এই ভয়ই ছিল, কেবল মাঝখানে আশ। করিয়াছিলেন পরিহাসের মধ্য দিয়া বুঝি এবারের মত ফঁাড়া কাটিয়া গেল। হয়ত কাটিয়াই যাইত, শুধু মেয়েটাই আবার নিরর্থক খোচ মারিয়া বিবরের সপকে বাতিরে আনিয়া দিল । কন্সার প্রতি র্তাহাব বিরক্তির অবধি রহিল না, কিন্তু প্রকাশ্বে সবিনয়ে কহিলেন, না মামা, সন্ধ্যা ত সে-সব কিছুই বলেনি। মাসি তিলকে ভাল করেন, সে ত তুমি বেশ জানে ? গোলক কহিলেন, তা জানি, কিন্তু আমার কাছে করে না । জগদ্ধাত্রী কঙ্গিলেন, আমি যে তখন দাড়িয়ে মামা ? গোলক হাসিয়া বলিলেন, তা হলে ত আরও ভালো । শাসন করতেও বুঝি পারলিনে ? এই হাসিটুকুতে জগদ্ধাত্রী মনে মনে একটু বল পাইয়া সক্রোধে কহিলেন, শাসন ! তুমি দেখে দিকি মামা, ওর কি দুৰ্গতিটাই .আমি করি ! গোলক স্নিগ্ধভাবে বলিলেন, থাকু দুৰ্গতি করে আর কাজ নেই
পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।