পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

I e ] সকালবেলায় প্রিয় মুখুয্যেমশাই অত্যন্ত ব্যস্ত হইয়া প্রাকৃটিসে চলিতেছিলেন, বগলে চাপা একতাড়া হোমিওপ্যাথি বই, হাতে তোয়ালে-বাধা ঔষধের বাক্স, পিছনে পিছনে এককড়ি জ্বলের বিধবা স্ত্রী মিনতি করিয়া চলিয়াছিল, বাবাঠাকুর, তুমি দয়া না করলে আমরা যাই কোথাকে ? প্রিয়র মুখ ফিরাইয়া কথা কহিবার অবকাশ ছিল না, তিনি বা .হাতটা পিছনে নাড়িয়া বলিয়া দিলেন, না, না, ন-—স্তোদের আর আমি রাখতে পারব না, তোরা বড় বজাত। কেন তুই ছাগলকে ফ্যান খাওয়ালি ? - ছলেবে বিস্মিত হইয়া বলিল, সকলের প্যাটা-পেটি ত ফ্যান খায় বাবাঠাকুর ? প্রিয়নাথ ভয়ানক ক্রুদ্ধ হইয়া কহিলেন, ফের মিথ্যে কথা হারামজাদী। কারু ছাগল ফ্যান খায় না । ছাগল খায় ঘাস । ফুলেবেী কহিল, ঘাস খায়, পাতা-পত্তর খায়, ফ্যানও খায় বাবাঠাকুর। প্রিয় তেমনি হাত নাড়িয়া বলিয়া দিলেন, না, না, তোদের আর আমি রাখবো না, তোরা আজই দূর হ ! গোলক চাটুয্যে বলে গেছে, বামুলপাড়ায় তোরা ছাগলকে ফ্যান খাইয়েচিম । আর তোদের ওপর আমার দয়া নেই—তারা বড় বজাত । তুলেবে শেয মিনতি করিয়া কহিল, ফ্যানটুকু কি তবে ফেলে দেবো বাবাঠাকুর ? - প্রিয় অসঙ্কোচে কহিলেন, হুঁ দিবি। তোদের গরু থাকতে