পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o “A - বামুমের মেয়ে জগদ্ধাত্রী কহিলেন, তামাস বই কি মাসি। এ কি কখনো হভে পারে ? রাসমণি একটু হাসিলেন, বলিলেন, তা সত্যি বাছা--আমারও প্রথমে তাই মনে হয়েছিল। মনে হয়েছিল, বুঝি-ব স্বপনষ্ট দেখচি । কিন্তু পরেই বুঝলুম, ন, জেগেই আছি । মেয়েটাৰ অদৃষ্ট বটে ; নইলে, কুলীনের মেয়ের ভাগ্যে এ কেউ কখনো দেখেচে না শুনেচে । আশীৰ্ব্বাদ করি জন্ম-এয়োস্ত্রী হয়ে থাক, কিন্তু যা-যা বলে দিলুম আজই কর গে বাছ । অণর কথাটা না যেন পাচ-কাম হয় । আগে ভালোয় ভালোয় আশীৰ্ব্বাদ হয়ে যাক । জগদ্ধাত্রী বাকুশূন্ত হইয়া দাড়াইয়া রহিলেন। রাসমণি পুনশ্চ কহিলেন, এই সামনের অস্ত্রাণের পরেই নাকি এক বচ্ছর অকাল। আমার চাটুয্যেদাদার ইচ্ছেটা , বলিয়া তিনি একটুখানি মুচকিয়া হাসিয়া কহিলেন, আর হবে নাই বা বন বল ? মেয়ে যে একেবারে লক্ষ্মীর প্রতিমে। দেখলে মুনির মন টলে যায়, তা আবার গোলক চাটুয্যে ! বলিয়া সহাস্তে জগদ্ধাত্রীর বাহুর উপর একটু আঙুলের চাপ দিয়া কহিলেন, যাও মা, ভিজে কাপড়ে আর দাড়িয়ে না—আমিও যাই, বেলা হয়ে গেল—ও-বেলা আবার তখন আসব, ঢের কথা আছে । এই বলিয়া তিনি আর সময় নষ্ট না করিয়া প্রস্তান করিলেন । জগদ্ধাত্রী অনেকটা যেন টলিতে টলিতে বাড়ী আসিয়া উপস্থিত হইলেন এবং ঠাকুরঘরের বারান্দার উপর জলপূর্ণ কলসিটাকে ধপ, করিয়া রাখিয়া দিয়া সিক্ত-বস্ত্রে সেইখানেই বসিয়া পণ্ডিতে র্তাহার ছই চক্ষু তপ্ত অশ্রুতে ভরিয়া গেল । র্তাহার ওই একমাত্র সস্তান । র্তাহার বড় আদরের সন্ধ্য রূপে ও গুণে যথার্থই লক্ষ্মীর প্রতিমা । সেই প্রতিমার বিসর্জনের আহবান