পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বামুনের মেয়ে NO কিন্তু আর কারও ওষুধ খাবিনে—পাছে তার লজ্জা হয় । এ-সব কি অামি টের পাইনে সন্ধ্যে । সন্ধ্যা দুই হাতে মায়ের গলা জড়াইয়া ধরিয়া হাসিয়া বলিল, তাই বই কি ! বাবার মত ডাক্তার কি কোথাও আছে নাকি ! মা বলিলেন, নেই সে-কথা সত্যি । সন্ধ্য রাগ করিয়া বলিল, যাও—তোমাকে ঠাট্টা করতে হবে না । মানুষের অসুখ বুঝি একদিনেই ভাল হয়ে যায় ? আমি ত আগের চেয়ে ঢের সেরে উঠেচি । এই বলিয়াই এ-প্রসঙ্গটা চাপা দিয়া কহিল, তুলেবেীর উঠে গেছে ম। বাচা গেছে । কখন গেল ? কি জানি ! বোধ হয় ভোরে উঠেই চলে গেছে । তাহার কৃত্রিম ঔদাসীন্য মাকে ভুলাইতে পারিল না। তিনি প্রশ্ন করিলেন, কোথায় উঠে গেল জানিস্ ? সন্ধ্য তেমনি তাচ্ছিল্যভরে কহিল, অরুণদার ওই পিছনের বাগানটাতে বুঝি। তার উড়েমালীর একটা ভাঙা পোড়ে-ঘর ছিল না ? তাতেই বোধ হয় । জগদ্ধাত্ৰী জিজ্ঞাসা করিলেন, অরুণের কাছে কে তাদের পাঠালে ? তুই বুঝি ? সন্ধ্যা মনে মনে বিপদগ্রস্ত হইয়া কোনমতে সোজা মিথ্যাট বঁাচাইয়া বলিল, অরুণদার কাছে আমি কেন তাদের পাঠাতে যাবে। মা ? আমি কাউকে কারুর কাছে পাঠাইনি। এই বলিয়। সে নিরতিশয় বিশ্ৰী প্রসঙ্গটা তাড়াতাড়ি উপ্টাইয়া দিয়া হাতের চিঠিটা মেলিয়া ধরিয়া কহিল, আসল কথাটাই তোমাকে এখনো বলা হয়নি মা । আমার সন্ন্যাসিনী ঠাকুরমা এবার কাশী