বামুনের মেয়ে ఆన প্রিয় কহিলেন, অরুণের । ঠিক হ৷ পোকণ্ডিয়া ! আমি যা ডায়াগ নোস, করব, কারুর বাবার সাধ্যি আছে কাটে ? কৈ, বিপনে বলুক ত এর মানে কি ? অন্তসময়ে জগদ্ধাত্রী বোধ হয় আর দ্বিতীয় কথা কঠিতেন না, কিন্তু অরুণের নাম শুনিয়া কিছু উদ্বিগ্ন হইলেন, কইলেন, কি হয়েচে অরুণের ? প্রিয় কহিলেন, ঐ ত বললুম গো । বিপনেই বুঝবে না, তা তুমি! তবু ত সে যা হোক একটু প্র্যাকটিস ফ্র্যাকটিস করে । জিনিয-পত্ৰ বাধা হচ্ছে—বাড়ী-ঘর দোর-জমি-জায়দাদ বিক্রী হবে—হারাণ কুতুকে খবর দেওয়া হয়েচে–ভাগ্যে গিয়ে পড়লুম ! যেদিকে যাবে। না, যে-দিকে একদিন নজর রাখব না, অমনি একটা অঘটন ঘটে বসবে ! এমন করে আমার প্রাণ বঁাচে না বাপু ! সন্ধ্যে ? কোথা গেলি আবার ? ধর্ণ করে মেটিরিয়া-মেডিকাখানা নিয়ে আয় ত ম, একটা রেমিডি সিলেক্ট করে তারে খাইয়ে দিয়ে আসি । যাই বাবা, বলিয়া সাড়া দিয়া একখানা মোটা বই হাতে সন্ধ্যা আসিয়া কাছে দাড়াইল । জগদ্ধাত্রী রাগ করিয়া কহিলেন, পায়ে পড়ি তোমার, খুলেই বল ন ছাই কি হয়েচে অরুণের ? প্রিয় চমকিয়া উঠিলেন, তার পরে বলিলেন, আহা, হাইপো— মানসিক ব্যাধি। আজকালের মধ্যেই সে দেশ ছেড়ে চলে যেতে চায় হারাণ কুণ্ডুকে সমস্ত বেচে দিয়ে। তা হবে না, হবে না-ও-সব হতে আমি দেবে না। একটি ফোটা দুশ শক্তির— সন্ধ্যা বিবর্ণ-নতমুখে নিঃশব্দে দাড়াইয়। রহিল। জগদ্ধাত্রী ব্যাকুলকণ্ঠে বলিয়া উঠিলেন, বাড়ী-ঘর বিক্ৰী করে চলে যাবে অরুণ ? সে কি পাগল হয়ে গেল ?
পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।