so বামুনের মেয়ে গোলক একমুহূৰ্ত্ত স্থির থাকিয়া বলিলেন, ব্যাপার কি ? আজ সকালে আছে। কেমন ? জ্ঞানদা মুখ তুলিল না, হাতের বেগুনটার প্রতি চোখ রাখিয়াই ঘাড় নাড়িয়া জানাইল, ভালো । গোলক অতিশয় আশ্বস্ত হইলেন, কহিলেন, ভালো, ভালো । অtমি জানি কিনা, প্রিয় হোক খ্যাপা পাগল, কিন্তু ওষুধ দয় যেন ধন্বন্তরী। কিন্তু যেমন বলে যাবে টাটম-মত খেতে হবে । তাচ্ছিল্য করলে চলবে না তা কিন্তু বলে যাচ্ছি। জ্ঞানদা এত কথার কোন জবাব দিল না, অধোমুখে কাজ করিতেই লাগিল। গোলক কিছুক্ষণতাহার প্রতি চাহিয়! থাকিয়া বতি: ন. প্রিয়কে বিশেষ করে বলে দিয়েচি ফুটি বেলা এসে দেখে যাবে,--সঞ্চলে এসেছিল ত ? & জ্ঞানদা তেমনি নত-মুখেই মাথ নাড়িয়া জানাইল, হা । গোলক খুসি হইয়া বলিলেন, আসবে বৈকি ! অঃসবে বৈকি! সে যে আমার ভারী অনুগত। কিন্তু ঝি বেটি গেম কোথায় ? সে যাবে ওষুধ দিয়ে, আর তুমি এদিকে খেটে খেটে শরীর পাত করবে, তা আমি হতে দিতে পারব না। বলি, গেল কোথা সব ? থাক খসব পড়ে। যাও ওপরে গিয়ে একটু বিশ্রাম কর গে - মধুসূদন ! তুমিই ভরসা ! এই বলিয়া গোলক পরের এবং নিজের লৌকিক ও পারলৌকিক উভয় কৰ্ত্তব্যই আপাততঃ শেষ করিয়া ব্যক্তিবে যাইবার উদ্যোগ করিলেন । র্তাহার খড়মের একটুখানি শব্দে চকিত হইয় এতক্ষণে জ্ঞানদা মুখ তুলিয়া চাহিল। তাহার মুখে সেদিনের সেই প্ৰসন্ন হাসিটুকু আজ নাই, আজ তাহা চিন্তা ও বিষাদের ঘন-মেঘে সমাচ্ছন্ন। চোখ
পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৭১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।