বামুনের মেয়ে سبھا ዓ8 পড়িয়া বলিল, মাসিম, তুমি বলে দাও না মাসিম, আমি যাবোই নদীতে নাইতে—হু —যাবই কিন্তু— জ্ঞানদা কাহাকেও কিছু কহিল না,কেবল সেই দুর্দান্ত ছেলেটাকে সবলে বক্ষে চাপিয়া ধরিয়া হু হু রবে কাদিয়া উঠিল । । [ घ ] তাহার পর জ্ঞানদা সেই যে ঘরে কবাট দিল আর খুলিল না। বৃদ্ধ অন্ধ শ্বশুর সমস্ত দুপুরবেলাটা বিমূঢ় বদ্ধিভ্রষ্টের হ্যায় নীরবে বসিয়া থাকিয় ধীরে ধীরে বাটীর বাহির হইয়া গেলেন। সঙ্গে সৌদামিনীও গেল । এষ্ট অপ্রত্যাশিত প্রত্যাখ্যানের হেতু সেও বুঝিতে পারে নাই, কিন্তু সে সময়েমানুষ—অমন করিয়া নিঃশব্দে ফিরিয়া যাওয়া তাহার সাধ্য নয় । যাইবার পূর্বে জ্ঞানদার রুদ্ধ দরজার বাহিরে দাড়াইয়া যে গুটি-কয়েক কথা বলিয়া গেল তাহা সুন্দরও নয়, মধুরও নয় ; কিন্তু কোন কথার কোন জবাব জ্ঞানদা দিল না। এমন কি তাহার একবিন্দু কাল্লার শব্দ পর্য্যন্ত সে বাহিরে আসিতে দিল না। ছেলেবেল বিধবা হওয়ার দিন হইতে যে শাশুড়ী তাহাকে এতকাল বুকে করিয়া মানুষ করিয়াছেন, একটি দিনের জন্ত কোন দুঃখ দেন নাই, —আজ তিনি মৃত্যুশয্যায়, কেবল তাহারই মুখ চাহিয়া ঠাহার হুঃখের জীবন মুক্তি পাইতেছে না, অথচ তাহার অশক্ত অন্ধ শ্বশুর রিক্তহস্তে ফিরিয়া চলিলেন—এ যে কি এবং কি করিয়া যে এই ব্যথা সে তাহার রুদ্ধ কক্ষের মধ্যে একাকী বহন করিতে লাগিল, সে কেবল জগদীশ্বরই দেখিলেন, বাহিরে তাঙ্গার আর কোন সাক্ষ্য রহিল না। বুদ্ধের যাইবার সময় গোলক দেখা করিলেন, সবিনয়ে পাথেয়
পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৭৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।