সন্ধ্যা অত্যন্ত আশ্চর্য্য হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, কি হয়েচে দিদিমা?
ডাক্ না একবার তোর মাকে। তাকে বলে যাচ্চি কি হয়েচে।
এই বলিয়া নাতিনীকে দেখাইয়া কহিলেন, এই যে মেয়েটা মঙ্গলবারের বারবেলায় ছাগল-দড়ি ডিঙিয়ে ফেললে, ওই যে দুলে-ছুঁড়ি আঁচল ঘুরিয়ে বাছাকে ছুঁয়ে দিলে—
সন্ধ্যা দুলে-মেয়েটাকে জিজ্ঞাসা করিল, তুই ছুঁয়ে ফেলেচিস্?
সে-বেচারা তখনও ছাগ-শিশু বুকে করিয়া একধারে দাঁড়াইয়াছিল, কাঁদো-কাঁদো গলায় অস্বীকার করিয়া বলিল, না দিদিঠান্—
রাসমণির নাতিনীটিও প্রায় সঙ্গে সঙ্গে বলিয়া উঠিল, না সন্ধ্যাদিদি, ও আমাকে ছোঁয়নি, ওই হোথা দিয়ে—
কিন্তু কথাটা তাহার পিতামহীর হুঙ্কারে ওই পর্য্যন্তই হইয়া রহিল।
ফের ‘নেই’ কচ্ছিস হারামজাদী? চল্, আগে বাড়ী চল্। ছুঁয়েচে কি না সেখানে গিয়ে দেখাচ্ছি।
সন্ধ্যা হাসিয়া কহিল, জোর করে নাওয়ালে ও আর কি করবে দিদিমা?
তাহার হাসিতে রাসমণি জ্বলিয়া গেলেন। বলিলেন, জোর করি, না করি, সে আমি বুঝব, কিন্তু তোর বাপের ব্যাভারটা কি-রকম? কোন্ ভদ্দরলোকটা ভিটে-বাড়ীতে ছোট-জাত ঢোকায় শুনি? লোকে কথায় বলে, দুলে! সেই দুলে এনে বামুনপাড়ায় ঢুকিয়েচে! বলি, ঘর-জামাই ঘর-জামাইয়ের মত থাকলেই ত ভাল হয়?
পিতার সম্বন্ধে এই অপমানকর উক্তিতে ক্রোধে সন্ধ্যার মুখ আরক্ত হইয়া উঠিল, সেও কঠিন হইয়া জবাব দিল, বাবা ত আর পরের ভিটেয় ছোট-জাত ঢোকাতে যাননি দিদিমা। ভাল বুঝেচেন নিজের