বামুনের মেয়ে ישר হবে না কিছুতেই—তা ব’লো না হয় প্রাণকৃষ্ণকে একবার দেখা করতে— মুতু্যঞ্জয় ব্যগ্র হইয়া বলিল, আজই—গিয়েই পাঠিয়ে দেবে, বরঞ্চ সঙ্গে করেই না হয় নিয়ে আসব। গোলক উদাসকণ্ঠে কহিলেন, এনে ; কিন্তু বড় বিপদে ফেললে মৃত্যুঞ্জয়--গরীব ব্রাহ্মণের এ বিপদে না বলবই বা বি করে। মধুসূদন । ত্বয়া হৃষিকেশ হৃদিস্থিতেন ! যা করাবেন তাশ করতে হবে। আমরা নিমিত্ত বই ত নয় । মৃত্যুঞ্জয় নীরব হইয়া রহিল। • গোলকের হঠাৎ যেন একটা কথা মনে পড়িয়া গেল । বলিলেন, হঁ দ্যাখে, তোমাকে যেজন্তে ডেকে পাঠিয়েচি তাই এখনো বলা হয়নি। বসচি, মাসটা বড় টানাটানি চলচে, তোমার স্থদের টাকাটা— মৃত্যুঞ্জয় করুণমুরে বলিল, এ মাসট। যদি একটু দয়া করে— গোলক কহিলেন, আচ্ছা আচ্ছা, তাই হবে, তাই হবে । আমি কষ্ট দিয়ে এক পয়সাও নিতে চাইনে ; কিন্তু বাবুজ, তামাকেও আমার একটি কাজ করে দিতে হবে । মৃত্যুঞ্জয় প্রফুল্ল হইয়া কহিল, যে আঞ্জে আজ্ঞ করুন । গোলক বলিলেন, সনাতন হিন্দুধৰ্ম্মটি বাচিয়ে সমাজ রক্ষা করে চলা ত সোজা দায়িত্ব নয়, মৃত্যুঞ্জয় । এ মহৎ ভার যার মাথার উপর থাকে, তার সকল দিকে চোখ-কান খুলে রাখতে হয় । শুনেছিলাম প্রিয় মুখুয্যের মায়ের সম্বন্ধে কি একটা নাকি গোল ছিল। এই খবরটি বাবা তোমাকে তাদের গ্রামে গিয়ে অতি গোপনে সংগ্রহ করে আনতে হবে । সে ছিলেন বটে তোমার পিতামহ শিরোমণি মহাশয়, বিশ-ত্রিশখান। গ্রামের নাড়ীর খবর ছিল তার কণ্ঠস্থ। ভূপতি চাটুয্যের যে দশটি বছর হু কো-নাপতে বন্ধ করে দিয়েছিলাম—
পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।