পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৯ বামুনের মেয়ে ভায়াকে শেষে বাপ, বাপ করে ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গা ছেড়ে পালাতে হ’লে, সে ত তোমার পিতামহের সাহায্যেই । কিন্তু তোমার বাবা র্তার কীৰ্ত্তি বজায় রাখতে পারলে না, এ-কথা আমাকে বলতেই হবে। মৃত্যুঞ্জয় তাহার পূর্বপুরুযের তুলনায় নিজের হীনতা উপলব্ধি করিয়া অত্যন্ত লজ্জিত হইল। কহিল, আপনি দেখবেন চাটুয্যেমশাই, আমি একটি হস্তার মধ্যেই তাদের পেটের খপর , নে বার করে আনব । গোলক উৎসাহ দিয়া বলিলেন, তা তুমি পারলে, প। রুপে । কত বড় বংশের ছেলে । কিন্তু দেখে। বাবাজী, এ নিয়ে এখন আর পীচকান করবার আবশ্যক নেই—কথাটা তোমার অাম : মধ্যেই গোপনে থাক্‌ ; সমাজের মান-মৰ্য্যাদা রক্ষা করতে হলে অনেক বিবেচনার প্রয়োজন । তা দ্যাধো, কেবল শুদ কেন ন ম র আসল টাকাটাও আমি বিবেচনা করে দেখব। কষ্টে পড়চ, এ কথা যদি আগে জানাতে— মৃত্যুঞ্জয় পুলকিত হইয়া উঠিয়া দাড়াইয়া কহিল, যে আজ্ঞে, যে আঙ্গে,—আমরা আপনার চরণেই ত পড়ে আছি । আমি কালষ্ট এর সন্ধানে যাবে, বলিয়া সে গমনোদ্যত হইল । গোলক জিব কাটিয়া কহিলেন, অমন কথা মুখে .ে এনে না বাৰাজী । আমি নিমিত্তমাত্র—তার শ্রীচরণে কীটাণুকীLের ন্যায় পড়ে আছি । এই বলিয়া তিনি উপরের দিকে শিৰনেত্র করিয়া হাত জোড় করিয়া নমস্কার করিলেন । মৃত্যুঞ্জয় চলিয়া যাইতেছিল, অন্যমনস্ক গোলক সঙ্গস কহিলেন, আর ছাখে, প্রাণকৃষ্ণকে একবার পাঠিয়ে দিতে যেন হুলো না। ব্রাহ্মণের বিপদের কথা শুনে পৰ্য্যন্ত প্রাণটা কেঁদে কেঁদে উঠচে । নারায়ণ ! মধুসূদন ! তুমিই ভরসা ! وخسـةC-ية