তিন প্রসিদ্ধ জয়রাম মুখোর দৌহিত্র শ্ৰীমান বীরচন্দ্র বন্দোর সহিতই সন্ধ্যার বিবাহ স্থির হইয়া গিয়াছে ! আগামী কল্য বরপক্ষ আশীৰ্ব্বাদ করিতে আসিবেন, বাড়ীতে তাহার উদ্যোগ-আয়োজন চলিভেছে। অগ্রহায়ণের শেষাশেষি বিবাহ, একটিমাত্র দিন আছে, তাহার পরে দীর্ঘদিনব্যাপী অকাল । এই সূত্রে বহু বৎসর পরে বহু সাধ্যসাধনায় শাশুড়ী কাশী হইতে আসিয়াছেন। সন্ধ্যার পরে ভাড়ার-ঘরের দাওয়ায় বসিয়া প্রদীপের আলোতে জগদ্ধাত্রী মিষ্টান্ন রচনা করিতেছিলেন এবং তাহারই অদূরে কম্বলের আসনে বসিয়া বুদ্ধা শাশুড়ী কালিতার মালা জপ করিতেছিলেন । শীতের আ iস দিয়াছে, র্তাহার গায়ে একখানি গেরুয়া রঙের লুই, পরিধানে সেট রঙে রঞ্জিত বস্ত্র। পুত্রবধুর দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া শান্তস্বরে জিজ্ঞাসা করিলেন, বিয়ের বুঝি আর দিন-দশেক বাকি রইল বৌমা ? জগদ্ধাত্রী মুখ তুলিয়া চাহিলেন, কহিলেন, কোপায় দশ দিন মা ! এই আজ নিয়ে ন'দিন । কাজটা হয়ে গেলে যেন বাfচ । এ পোড়া দেশে কিছুই যেন না হলে আর ভরসা হয় না। শাশুড়ী একটু হাসিয়া কহিলেন, সব দেশেই এই ভয় মা, কেবল তোমাদের গ্রামেই নয়। কিন্তু এতে আশা-ভরসাই বা কি আছে বেীমা, অমন লক্ষ্মীর প্রতিম মেয়েকে যখন জলে ফেলেষ্ট দিচ্ছ ? জগদ্ধাত্রী চুপ করিয়া কাজ করিতে লাগিলেন, উত্তর দিলেন নী । শাশুড়ী বলিলেন, প্রিয়র কাছে সমস্ত শুনেচি। আজ সকালে
পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।