বামুনের মেয়ে 9اپیb বলিয়৷ হঠাৎ পিতামহীর দিকে ফিরিয়া জিজ্ঞাসা করিল, ঠা ঠাকুরমা, সকলের নাডু আছে, আমাদের নাই কেন? কালিতারা সস্নেহে হাসিয়া বলিলেন, তা ত জানিনে fি৮ : সন্ধ্য। বলিল, বাঃ—তোমার শাশুড়ীকে বঝি এ-কথা ষ্টি জ্ঞাসা করোনি । কালিতারা বলিলেন, কি করে আর জিজ্ঞেস করব ভাই, জন্মে ত কোনদিন শ্বশুরবাড়ীর মুখ দেখিনি। জগদ্ধাত্রী ইহা জানিতেন, তিনি লজ্জিত-মুখে নীরবে কাজ করিতে লাগিলেন। সন্ধা প্রশ্ন করিল, আচ্ছা ঠাকুরমা, তোমার সবশুদ্ধ কতগুলি সতীন ছিল ? একশ ? ছশ ? তিনশ' ? চারশ ? ঠাকুরমা পুনরায় হাসিলেন--ঠিক জানিনে দিদি, কিন্তু অসম্ভবও নয় । আমার বিয়ে হয়েছিল আট বছর বয়সে, তখনই তা পরিবার ছিল ছিয়াশিটি । তার পরেও অনেক বিয়ে করেছিলেন, কিন্তু কত সে বোধ হয় তিনি নিজেও জানতেন না, তা আমি জানব কি করে ? সন্ধ্যা বলিল, আহা, তার লেখা ত ছিল ? সেই খাতাখানা যদি কেড়ে রাখতে ঠাকুরমা, তা হলে বাবাকে দিয়ে আমি খোজ করাতুম র্তারা সব এখন কে কোথায় আছেন । হয়ত আমার কত কাক, কত জ্যাঠামশাই, কত ভাই-বোন সব আছেন, না ঠাকুরমা : আহা, তাদের যদি সব জানতে পারা যেতো ! একটুখানি হাসিয়াই প্রশ্ন করিল, আচ্ছ। ঠাকুরমা, কুদামশাই কালে-ভদ্রে কখনো এলে তাকে ক’টাকা দিতে হ’তো দর-দস্তুর নিয়ে তোমাদের সঙ্গে বুঝি ঝগড়া বেধে যেতো—না ? জগদ্ধাত্রী রাগ করিয়া উঠিলেন । বলিলেন, জ্যাঠাম রেখে ঠাকুরের শেতলের জোগাড়টা সেরে ফেল দিকি, সন্ধ্যে।
পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।