পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাগান ঘেরাও 8ዓ আমি বুঝিলাম আজ হইতে ন্যায়বিচারের এত বড় গৰ্ব্বী ইংরাজের ঘরে লাঞ্ছনাই আমার নিত্য প্ৰাপ্য খোরাক। ইহার পর জেলখানায় পাঠানের লাথি খাইয়াও বৃথা মানের কান্না কখনও কঁাদি নাই ; নীরবে সব সহিয়াছি। দেশ ভরিয়া বিপ্লবের আয়োজন যে করে, তাহার সে মরণের অগ্নি লইয়া দুরন্ত খেলায় মান সম্রম, ঘর দুয়ার, সুখ-সামগ্ৰী সবই পুড়িয়া ছাই হইবে, তাহা আর আশ্চৰ্য্য কি ? আমাদেরও হইল ; কিন্তু যাহা এমন অনিবাৰ্য্য তাহা সহিবার মত শান্ত উদাসীন সর্বত্যাগী মন আমাদের ছিল না বলিয়া, সহিতে গিয়া অনেক দুঃখ পাইয়াছিলাম। তবু যে কোন গতিকে সহিয়াছিলাম তাহা সেই মহাপুরুষ লেলের সাধনার গুণে, যাহা আমার কৰ্ম্মের মধ্যে স্বাধীন স্বচ্ছন্দ জীবনে গ্ৰহণ হইল না, তাহা বিপদে রাজদ্বারে মৃত্যু শিয়রে করিয়া গ্ৰহণ করিতে হইল। “যে করে আমার আশা করি তার সর্বনাশ ।” কিন্তু এতবড় সর্বনাশ করিয়া-পথহারা গৃহহারা দেশান্তরী করিয়া ভগবান বোধহয় তাহার খুব কমই যাজককে ধরা দিয়াছেন । আমার জীবনে ধরা যে কখনও দেবেন, বার বৎসর দ্বীপান্তর ভোগের পর আজও তাহার শুধু সাধনা চলিতেছে ; তবু এ ভগবান নাকি সহজ ।