পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরাধ স্বীকার কেন করিলাম ? y সেই খিচুড়ি সমস্ত দিনের উপবাসের পর পরমান্ন বোধে খাইলাম। শুইতে দিল দুগ্ধফেননিভ কুসুমকোমল পালঙ্ক, সামনেই খোলা জানালা ও কলিকাতার রাজপথ । নির্বিববাদে শুইয়া আছি আমি ফাঁসীর আসামী—শত্রুপুরীর মাঝে-খোলা জানাল সম্মুখে করিয়া। সে কি সাধে ? মশারীর বাহিরে একজন বন্দুকধারী ভুড়েল পাহারাওয়ালা আমার শায়িত অঙ্গের দিকে লোলুপ নেত্ৰে চাহিয়া দাড়াইয়া আছে। রাত্রে কতবার ঘুম ভাঙ্গিল, প্ৰতিবার কাণে বাজিল কোথা হইতে সেই বাগানে ঘরের চারিপাশে পূর্ব রাত্রির খস খাস জুতার শব্দ । পরে জেলখানায়ও কতবার ঐ শব্দ শুনিয়া হিম-অঙ্গ হইয়া জাগিয়া tfits, as fire attalise nervous beinggs স্নায়ুরাজ্যের কোথায় সেই শব্দ আমার অগোচরে একটা ওলট-পালট ঘটাইয়াছিল। আমার মন প্ৰাণ চিত্ত সে সংবাদ রাখিত না বটে কিন্তু ঘুমাইলেই কোথা হইতে সেই শব্দ বাজিয়া উঠিত, আরও আমার সর্বাঙ্গ হিম श्वा घूम डांडिचा शांश्ड। aê let (nervous shock) সামলাইতে কয়েক বৎসর লাগিয়াছিল। সে রাত্রে যতবার ঘুম ভাঙ্গিল, প্ৰতিবারই সেই লোভনীয় গবাক্ষ পথ একদিকে, আর অনিদ্র সশস্ত্র লালপাগড়ীর খাড়া লাস আর একদিকে। আশা সাধ আকাজক্ষা-ভরা প্ৰাণের কোথায় যেন হা হা করিয়া উঠিতেছিল, তখনও যে পাগলের মনের কোন সাধই পুরে নাই, স্বপ্ন যে স্বপ্নই রহিয়া গিয়াছে। সাধক কবি ইন্দুভূষণ সত্যই বলিয়াছেন ‘७ वg आलएद्रश्न घनी आभाद्र कामना । আমি দিবানিশি খাটি তবু পোরে না তার বাসনা।” মনের ফরমাইস খাটিয়া খাটিয়া এ দুনিয়ায় সতাই কেহ কুল পায় নাই, কারণ মনও আপন কোটে একটি ছোটখাট সাগর, তাহার লহরীমালারও ইতি নাই । আসলে আমাদের পরমধামের সেই অন্তর-সাগরই মনের কুলে ঢেউ দিতেছে। এতদিনে জীবনের নৌকায় পাড়ি জমাইয়া যাহা বুঝিয়াছি, তখন অতটা বুঝিলে, বোধ হয়। সে