পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6छक्ष VG মেথর আসিয়া প্রস্রাবের টুকরি সরাইয়া নূতন টুকরি ও মাটি জোগাইল, হাত মুখ ধুইবার জন্য ঘরে ঘরে বালতি বালতি জল আসিল । বাহির হইয়া বড় উঠানে মুখ বাহির করিয়া দেখি, ঘরে ঘরের দুয়ারে কৌতুহলী মুখ সব দেখা দিয়াছে, বলা বাহুল্য সবারই পাটি দুই দাত সকৌতুকে বাহির করা। দেখিলাম সেখানে বাগানের সবাই আছে, উপেন আছে, উল্লাস, বিভূতি, ইন্দুভূষণ আছে, কানাই, নলিনী, শচীন্দ্ৰ, নিরাপদ আছে, বিজয় নাগ, শিশির ঘোষ, নরেন বক্সি ও পূর্ণ সেন আছে, তা ছাড়া হেমচন্দ্র ও অবিনাশ আমাদের সে দূরদৃষ্টরূপ গগনে সমুদিত । অবিনাশের মুখে শুনিলাম আমার সেজদাদা অরবিন্দও গ্রেপ্তার হইয়া জেলের অন্যত্র খোয়াড়ে খোল বিচালি পাইয়াছেন। সকালের প্রাতরাশ আসিল “লপসী”। আমরা এই অপূর্ব পদার্থটি, এক এক হাতা লোহার থালায় জনে জনে পাইয়া চক্ষু ছানাবড়া করিয়া সভয়ে চাহিয়া রহিলাম। এ আবার কি রে বাবা । পাহারাওয়ালা আশ্বাস দিয়া বলিল, “বাবু খাও, ভাল জিনিস।” তাই তো, এ যে ফেন ভাত, তাহাতে একছিটা লবণ। দু’ চার দিন থাকিতে থাকিতে শেষে দেখিলাম। এ “লপসী” বহুরূপিনী-কাভু পীত, কতু শ্বেত, কভু লোহিত-বরণী। তাহা দেখিয়া প্ৰাণপাখী আপনি পুলকে গাহিয়া উঠিত, “কখন কি রঙ্গে থাকো মা শ্যামা সুধা তরঙ্গিণী ।” সাদা কথায় পৰ্য্যায়ক্রমে একদিন ফেনভাত, একদিন চালে দালে ও একদিন গুড়ে চালে, বাল্য যৌবন জরার মত ঘুরিয়া ফিরিয়া, এই তিন রঙা লিপসী প্ৰতি উষায় আমাদের ভোগের দাসী, এমনি করিয়া আমাদের উদরের চব্বিশ পহরী দুর্ভোগ, এই লপসী সুন্দরী দিয়াই প্ৰথম আরম্ভ হইল। বেলা নয়টায় সুপারিনঠনঠন ইমার্সন সাহেব রোদে আসিলেন, ষ্টেথোস্কোপ বগলে নধরকান্তি ডাক্তার ডয়েলী সাহেবও স্বতন্ত্র দেখা দিয়া, জনে জনের দৈহিক কুশল জিজ্ঞাসা করিয়া গেলেন। দু’চার দিনেই আমরা জেলের কৰ্ত্তাদের নাড়ী G