পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জেল-সুখের রকমারি ዓve) বিড়ালের ভাগ্যে শিকা ছিড়িল, নরেন্দ্ৰ গোসাই, পুলিশ, ও তাহার পিতার অনুরোধ উপরোধে ভিজিয়া, রাজার তরফে সাক্ষ্য দিতে রাজী হইল। নরেন্দ্র বড় মানুষের ছেলে, তাহাতে একটু বিশেষ করিয়া বখা, সখের দেশ উদ্ধার করিতে আসিয়াছিল মাত্র । সে আমাদের ভিতরের কথা জানিত না, চন্দননগরের মেয়র তাদিভেলের উপর বোমা ফেলার সময় কিছু সাহায্য করে এবং বাঁকুড়ায় তাহার জমিদারীর কাছে ডাকাতি করিতে একদলকে একবার সেখানে লইয়া যায় । আমরা প্ৰথমে নরেনের ভাবান্তরের কথা জানিতাম না, কিন্তু হঠাৎ তাহার বেশী অনুসন্ধিৎসায় কেহ কেহ সন্দেহ করাতে ব্যাপারটা কাণাঘুসায় রািটয়া গেল। নরেন বুদ্ধিমান ও স্থিরমতি হইলে, তলে তলে তথ্য সংগ্ৰহ করিয়া বিলক্ষণ সৰ্ব্বনাশটাই বাধাইতে পারিত, কিন্তু কঁাচ চাল দিতে গিয়া যাহাকে তাহাকে যখন তখন গুঢ় কথা জিজ্ঞাসা করিতে গিয়া, শীঘ্রই সন্দেহভাজন হইয়া পড়িল । তাহার প্রশ্নগুলাও বড় অদ্ভুত ধরণের, শুনিলেই বুঝা যায় যে, পুলিশের মুখের রচা, সে আবৃত্তি করিতেছে মাত্র ; যেমন মাদ্রাজে নেতা কে, মহারাষ্ট্রের নেতা কে ? শেষে পণ্ডিত হৃষীকেশ বুদ্ধি ঠাওরাইল যে কতকগুলা রচ নাম তাহাকে বলা যাক ; আমরা বৈঠক করিয়া পরামর্শ আঁটিয়া বলিয়া দিলাম, পুণার সভাপতি ছিলেন পুরুষোত্তম নাটেকার, মাদ্রাজের ছিলেন বিশ্বম্ভর পিলে ; হৃষীকেশও নরেনকে ऊाश्ांझे अनांश्ल। ইতিমধ্যে হঠাৎ একদিন ডাক্তার ডয়েলী ও সুপারিনঠনঠন ইমার্সন সাহেবের দয়ায় আমরা কুঠরীজাত দশা হইতে উদ্ধার হইয়া তিন নম্বর ওয়ার্ডে দাখিল হইলাম। এ ওয়ার্ডটিতে তিনটি ঘর, দু’- পাশে দু’টি ছোট ঘর ও মাঝে একটি ৰড়ি হল, সামনে পাচিল-ঘেরা খানিকটা উঠান। বড় ঘরে ঢুকিল আডিডাবাজ ছেলের দল, একদিকের কুঠারী পাইলেন অরবিন্দ ও দেবব্রত এবং অপরদিকের কুঠারী পাইলাম