পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీS বালচিকিৎসা | (৩) গাত্রাবরণ ৷ শীতল বায়ু সংস্পর্শে বাল্যকালে যত প্রকার পীড়া হইতে পারে, তেমন আর অন্য সময়ে দেখা যায় না। কিন্তু আক্ষেপের বিষয় এই যে, অস্মদেশীয় জনগণ এই বিষয়ে বিশেষ অনাদর করিয়া থাকেন। তাছার বিবেচনা করেন যে, শিশুর শরীরে যেরূপ অদ্যুৎপাদন হয়, তাছাই শীতল বণত নিবারণের যথেষ্ট উপযোগী । শীত গ্রীষ্মের নু্যনাধিক্যানুসারে বস্ত্রের গুণের তারতম্য বিবেচনা করিয়া নিয়োগ করা উচিত। শীতকালে ফুনেলাদি এবং গ্রীষ্মকালে সুতলী ও কোষেয় বস্ত্রাদি ব্যবহার করিতে হুইবে । মস্তক অনাৰ্বত রাখা অতি অকৰ্ত্তব্য। পরিধেয় বসনের দৃঢ়তর বন্ধনে শ্বাস প্রশ্বাস ক্রিয়া বা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ চালনার ব্যাঘাত যাহাতে না হয়, তাহার প্রতি বিশেষ মনোযোগ করিতে হইবে। পরিধেয় বস্ত্র অতি শৈশব কালে প্রত্যহ ধৌত করা উচিত। . * (৭) ব্যায়াম । প্রথম ও সপ্তাহ শিশুকে বাটীর বাহিরে লইয়। যাওয়া অকৰ্ত্তব্য, বিশেষতঃ যখন বায়ুর হঠাৎ পরিবর্তন হয়, তখন তাহাকে বহির্দেশে লইয়া গেলে বহু প্রকার অনিষ্ট হইতে পারে। কিন্তু বায়ু সমভাবে অবস্থিতি করিলে, এবং শিশু বয়ঃপ্রাপ্ত, সবল ও সুস্থ হইলে প্রাতঃকালে অথবা সায়াহ্লে তাহাকে লইয়া যাওয়া কৰ্ত্তব্য । পরিচারিক বা অন্য কাহার হস্তে মুক্ত বায়ুতে অঙ্গচালনাই শিশুর ব্যায়াম বলিয়া পরিগণিত হইবে । সবলে অঙ্গচালনা অতি অনিষ্টকর ; শৈশব কালে অস্থি সকল কোমল থাকে এবং তাহা সুদৃঢ় না হইতে যষ্টি প্রভৃতি অবলম্বন