পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৪৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\లిసిసి) 3. বালচিকিৎসা | এই শেষোক্ত অবস্থা অতি ভয়ানক। প্রবল শ্বাসকছু স্বরভঙ্গ বা এককালে স্বর বিলুপ্ত হয় ; মুখমণ্ডল স্নান ও তাহার অস্থি সকল উন্নত, হস্ত পদ অতিশয় শীতল, অথচ বক্ষঃস্থল উষ্ণ, নাড়ী অত্যন্ত বেগবতী এবং অগণ্য সঞ্চারিণী, এবং শীতল স্বেদ বিন্দুতে ললাট পরিপূর্ণ, এই সকল লক্ষণের পর সচরাচর অঙ্গক্ষেপ, বা অচৈতন্য হইয়া শিশুর মৃত্যু হইতে পারে। তৃতীয়বস্থায় জীবনাশা একবারেই থাকে না, কিন্তু ক্কচিৎ ইহাতেও আরোগ্য লাভ করিতে দেখা গিয়াছে। লক্ষণ সকল প্রতীয়মান হইলে কাশের পুনরুদ্দীপন, শ্বাস -কৃচ্ছের হ্রাস, ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক ও উষ্ণ, কখন২ জ্বর, জিহা রক্তবর্ণ ও ক্ষতযুক্ত, উদরাময় এবং পেশীক্ষয় হুইয়া অবশেষে জীবন-দীপ নিৰ্ব্বাণ হয় । , পূর্বে বলা হইয়াছে যে, কৈশিক নলো ফুক্ষুস প্রদাহের সহিত বর্তমান থাকে, এবং তাছা হইলে শ্বাস-কছু প্রথম হইতেই অত্যন্ত প্রবল হয়। নিশ্বাস দ্রুত ও অসম, বৃহৎ ও ক্ষুদ্র কেশ-ঘর্ষণ-শব্দ, মুখমণ্ডলের বিবর্ণতা, এই সকল লক্ষণ মৃত্যুর পূর্বে প্রকাশ পায়। 4مي রোগ-নির্ণয়। নগোষ ও ফুকুম্প্রদাহে প্রভেদ করা বড় কঠিন নছে ; যেহেতু, দ্বিতীয়োক্ত পীড়ায় লক্ষণের প্রবলতা ত্বকের উষ্ণতা, নাড়ীর দৌৰ্ব্বল্য ও দ্রুতগামিত্ব, শ্বাস-কছু এবং ক্ষুদ্র কেশ-ঘর্ষণ-শব্দ স্পষ্টরূপে প্রকাশ পায়। ইহার সঙ্গে ফুক্ষুদ্ৰ-বেষ্টের প্রদাহ প্রায় থাকে এবং তজ্জন্য কখনই ঐ দ্বিতীয়োক্ত পীড়ার সহিত উহার ভ্রম জন্মে। ফুফুস বেষ্টেীষে বক্ষঃস্থলে বেদন হয়, এবং