পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিশুপালন । ২৭ করিবার নিমিত্ত ঐ সকল রোগোৎপত্তির পূর্বলক্ষণ সকল নিয়ে প্রদর্শিত হইতেছে। প্রথমে ষে শিশুর দেহ অতি স্থল ছিল, যাহার কোন পীড়ার লেশ মাত্র ছিল না, দীর্ঘকাল স্তন্যপান নিবন্ধন দুর্বল, এবং কলেবর ক্ষীণ হইতে থাকে, তৎপরে মুখশ্ৰী বিবর্ণ, মাংসপেশী সকল কোমল ও জীর্ণ এবং হস্তপদ শীর্ণ হইতে থাকে । এমত স্থলে "কোন প্রতীক্ষার না করিলে বালক বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে যক্ষাদি রোগে আক্রান্ত ছইতে পারে। পক্ষান্তরে প্রস্থতি যখন স্তনপান করান, তখন তাহার বোধ হয় যেন পৃষ্ঠদেশের কোন কোন অংশ অধোদেশে আকৃষ্ট হইতেছে, আর পাকস্থলীর গহ্বর শূন্য ও অবনত -হইতেছে। তৎপরে ক্রমশঃ অগ্নিমান্দ্য, কোষ্ঠবদ্ধ, বাম পার্শ্বে বেদন ইত্যাদি লক্ষণ প্রতীয়মান হয়। কখন কখন মাস্তিষ্ক্য রোগ উৎপন্ন হুইয়। হৃৎকম্প, কৰ্ণে শব্দ, এবং মন্তক ঘুর্ণায়মানহুইয়। রোগিনী ভূমিতে পতিত হন। যেমন রোগের বৃদ্ধি হইতে থাকে, শ্বাস কচ্ছ, উৎকাস, মুখ মণ্ডলের মলিনত, কুশাঙ্গ, রাত্রিকালে অত্যুন্ত ঘৰ্ম্ম, অতিশয় দৌর্বল . পাদগ্রন্থির স্ফীতত ইত্যাদি লক্ষণ সকল লক্ষিত হয়। বোধ হয়, অস্বদেশীয় লোকের মনে এক দিনের জন্যও উদয় হয় না যে, দীর্ঘকাল স্তন্যদানে প্রস্থতির কোন পীড় কুইতে পারে। পঞ্চমবৰ্ষ গত হইয়াছে, অথচ দুই চারি বার মাতৃ-দুগ্ধ পান না করিয়া বালক ক্ষান্ত থাকেন r দীর্ঘকাল শারীরিক রস নির্গত হওয়াতে যে সকল রোগের উৎপত্তি ছয় তাহার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান না করিয়া অস্মদেশীয় লোকের