পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 বালচিকিৎসা | শিশুর পক্ষে কদাপি হয় না। মাতৃদুগ্ধের প্রাচুর্য্যাভাবে ধেনু, মেষ, ছাগ, ও খরদুগ্ধ প্রায় ব্যবহৃত হয়, কিন্তু দুগ্ধোপাদান গুলি স্ত্রীদুগ্ধের ন্যায় না হওয়াতে শিশুর অজীর্ণতা ও উদরাময় হয়। ছাগ ও মেষ দুগ্ধে এক প্রকার দুর্গন্ধ আছে, তাহাতে শিশু ঐ সকল দুগ্ধ সেবনে অনিচ্ছা প্রকাশ করে । মানব দুগ্ধ ক্ষণরাক্ত (Alkaline) এবং গৃহপালিত পশুদিগের দুগ্ধ আমবিশিষ্ট । অস্ত্রবিশিষ্ট দুগ্ধ বায়ুস্পর্শে অত্যপ ক্ষণ মধ্যে বিকৃত হয় এবং ঐ বিকৃত দুগ্ধ পান করিয়া উদরাময় হয়। খরভুগ্ধে শর্কর অধিক থাকতে উষ্ণতার বৃদ্ধি হয় । - খরদুগ্ধ। ইহা ব্যবহৃত হইলে প্রথম দশ দিনের জন্য সমভাগে উষ্ণ জল মুিশ্রিত করিয়া সেবন করাইতে হইবে, আর এই দুগ্ধ স্বভাবতঃ অত্যন্ত মিষ্ট হওয়াতে জল মিশ্রিত করিয়৷ শর্কর সংযোগের প্রয়োজন নাই । শিশুর দশ দিবস বয়ঃক্রম গত হইলে দুই অংশ দুগ্ধ একাংশ জলে মিশ্রিত করিয়া সেবন করাইতে হইবে। এইরূপ কয়েক সপ্তাহ গত ছুইলে অমিশ্র দুগ্ধ পান করাইতে কোন বাধা নাই। স্তনদুগ্ধ স্বভাবতঃ যত উষ্ণ, অগ্ন্যন্তাপে থরদুগ্ধ সেই রূপ উষ্ণ করিয়া অর্থাৎ ৯৬ হইতে ৯৮ ভাপাংশে নীত করিয়া সেবন করাইতে হইবে । ষত বার দুগ্ধপান করাইতে হইবে, ততবার ঐ পশুর দুগ্ধ দোহন করাইতে হইবে, আর যতটুকু প্রয়োজন হইবে কেবল তাছাতেই জল মিশ্রিত করিতে হইবে। বিশেষতঃ নিদাঘ কালে অধিকক্ষণ দুগ্ধ দোহন করিয়া রাখিলে তাহা বিকৃত হয়।