পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিশুপালন । 8& ধেনুদগ্ধ। গাভীভুগ্ধে অধিক পরিমাণে কেজিন

  • ds. S.

(Casein) থাকতে কয়েক সপ্তাহ পৰ্যন্ত ঐ দুগ্ধ শিশুর পক্ষে অনুপযুক্ত কিন্তু অন্যতর উপায় বিহীন হইলে, একাংশ ভুগ্ধে দুই অংশ উষ্ণজল ও শর্করা মিশ্রিত করিয়া সেবন করাইতে পারা যায়। তৎপরে ৪৫ মাস পৰ্য্যন্ত সমভাগে জলমিশ্রিত করিয়া, আর ষষ্ঠ মাস হইতে অমিশ্র দুগ্ধ সেবন করাইতে কোন বাধা মাই। খরদুগ্ধ প্রস্তুত করিতে যে ’ রূপ উপদেশ দেওয়া চুইয়াছে, এখানেও,তাহা প্রযোজ্য। বৃহত্তর নগরে সমল গেশালায় বাস ও দূষিত বায়ু সেবন করিয়া গাভীগণ রুগ্ন হয়, এবং ঐ সকল গভীর দুগ্ধ পান করিয়া কোমল কায় শিশু যে রোগাক্রান্ত হইবে, . তাহাতে আর আশ্চৰ্য্য কি। ঐ সকল নগরের নিকটবর্তী পল্লীগ্রামের দুৱাত্মা গোপালগণ, খড়িমাটি, গোধুমচূর্ণ প্রভৃতি দ্বারা গোরসের প্রকৃতি এত দূর বিনষ্ট করে যে, সুকুমার শিশু কেন, বিলক্ষণ দৃঢ় কায় যুব ব্যক্তিও তাছা পান করিয়া ব্যাধিগ্রস্ত হন । 影 মেষ ও ছাগদুগ্ধে আবুও অধিক জল মিশ্রিত না, করিলে শিশুর সেবন যোগ্য হয় না। ফলতঃ এই দুগ্ধ শিশুর যত অহিতকর উদ্রপ অন্য দুগ্ধ নছে। কিন্তু অন্মদেশীয় লোকের আশ্চৰ্য্য প্রত্যয় এই যে, মাতৃহন্ধ অপেক্ষা মেষ ও ছাগদুগ্ধ অধিক পুষ্টিকর, এই জন্য তাহ শিশুকে অধিকপরিমাণে সেবন করান কৰ্ত্তব্য, বলিতে কি, প্রস্থতির স্তন হইতে প্রভুত পরিমাণে স্বাস্থ্যকর দুগ্ধ নিঃসৃত হুইলেও ছাগ ও মেষদুগ্ধে শিশুগণ প্রতিপালিত হয়।