পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় } ব্রাহ্মণবর্গ। ビ-* যোগসাধনের প্রণালী শ্বেতাশ্বতর উপনিষদে (৩৭) এরূপ বর্ণিত হইয়াছে।—যে গুহায় বায়ু, বৃক্ষ-পল্লব ও জলের মনোহর শব্দ প্রবেশ করিয়া থাকে, যথা হইতে কোন কুদৃশ্ব দৃষ্টিপথে পতিত না হয়, তথায় সমভূমি স্থানে শিলাখণ্ড প্রভৃতি পরিষ্কার করিয়া যোগী অবস্থান করিবে ; এবং বক্ষ, গ্রীব ও শরীরের অপর উৰ্দ্ধাংশ উন্নত রাখিয়া মনঃসংযমপূৰ্ব্বক জিতকাম ও জিতেন্দ্রিয় হইয়া নাসিকাগ্রে প্রাণবায়ুর প্রতি দৃষ্টিদ্বারা একাগ্রচিত্ত হইয়া ‘ওমৃ’ শব্দ দ্বারা যোগসাধন করিবে, এবং যোগে যখন পরমাত্মার দর্শন পাইবে, যোগী তখন সাংসারিক সুখ দুঃখ পরাজয় করিয়া ব্রহ্মানন্দ লাভে সমর্থ হইবে । (৩৮) ইহা পুনর্বার বলা বাহুল্য যে পূর্বোক্ত যোগশাস্ত্র বাল্মীকির দ্বারা উল্লিখিত এবং তৎপূৰ্ব্বে যাহা প্রচলিত বলিয়া বিবেচিত, সেই সকল শ্রুতি গ্রন্থ হইতে কথিত হইল। উহা অদ্বৈতবাদ । সভ্যতার আদি প্রবর্তক, সাধারণত ভারতবর্ষীয় আৰ্য্যগণ এবং গ্রীসীয়দিগকে বলা গিয়া থাকে। উভয়েই মনুষ্যজাতিকে মনুষ্য-পদবীতে পদার্পণ করিতে শিক্ষা দিয়াছেন। এতদুভয়ের মধ্যে যখন গ্রীসীয়ের কেহ জল, কেহ বায়ু, কেহ, অগ্নি, কেহ ক্ষিতি অপ তেজ ও মরুতের সমাবেশ এই সকল আদি কারণ বলিয়া বাগ্‌বিতণ্ড (৩৭) শ্বেতাশ্বতর রামায়ণের তুলায় অনেক আধুনিক। (৩৮) ব্রহ্মধ্যান-সম্বন্ধে কি কি উপায় ও সেই সেই উপায়ের কি কি বিষ্ক ও তাহার নিরাকরণ-প্রণালী বেদান্তসাবের শেষ ভাগে সংক্ষেপে বিবৃত হইয়াছে ।