পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ケレ* বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত। त्रेिडौश করিতেছেন ; যখন ফিডিয়াস একেশ্বরবাদিত্ব হেতু দেশত্যাগ করিয়া পলায়নপর হইতেছেন ; যখন স্থিরমূর্তি অবিচলিতচিত্ত পেরিক্লিস সেই একই কারণে চলিতচিত্ত ও বিগলিতনেত্র হইয়া আপন প্রিয়তমা আস্পেসিয়ার নিমিত্ত বিচারস্থলে ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছেন ; যখন সত্যের অনুরোধে একজন জগদগুরু বিষপানে দেহত্যাগ করিতেছেন, র্যাহার নামে যাবৎ জগৎ তাবৎ ঋণী থাকিবে , ভারতীয়েরা তাহার বহু পূর্ব হইতেই পূজনীয়ভাবে তত্ত্বান্বেষি মানবচিত্তের অনেক উচ্চতম আকাঙ্ক্ষা পরিতৃপ্ত করিতে সমর্থ হইয়াছেন। “আমি যদি আলেকজণ্ডার না হইয়া ডিওজিনস হইতাম” এই আক্ষেপবচন গ্রীকভূমে বহুপরে ধ্বনিত হইয়াছিল। আর্য্য পিতৃপুরুষগণের উদ্ভাবিত সেই শ্রুতিগ্রস্থকলাপ এতদূর গাঢ়তা ও নানা-আশ্চৰ্য্য-তত্ত্বপূর্ণ, যে এই প্রস্তাবে তাহার ভাবার্থের সহস্রাংশের এক অংশেরও পরিচয় দিয়াছি বলিলে, ক্ষমার অযোগ্য ধৃষ্টতা প্রকাশ হয়। ভারতীয় শাস্ত্র যিনিই পূর্বাপর সচিন্ত পর্য্যালোচনা করিয়াছেন, তিনিই দেখিয়াছেন যে ভারতের ধৰ্ম্মপ্রচারক কোন মনুষ্যবিশেষ নহে, প্রকৃতিদেবী স্বয়ং। জননী স্বয়ং সন্তানকে আপন ক্রোড়ে লালন-পালন-সময়ে বাক্যস্কৃপ্তি করিতে শিক্ষা দিয়াছেন, বাল্যকালে বালকের অৰ্দ্ধস্ফুট ধ্বনি শুনিয়া শ্রবণমুখে ভাসিয়াছেন । যৌবনে যৌবনত্ৰসম্পন্ন উদ্ভিন্নজ্ঞানাঙ্কুর যুবকের বদনে জ্ঞান ও চাপল্যের একত্র সমাবেশ দেখিয়া, সস্নেহানন্দে নয়নমুখ লাভ করিয়াছেন। দেবী আশা করিয়াছিলেন সেই সন্তানকে প্রাচীনাবস্থায় সৰ্ব্বকৃতী