পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ।] ব্রাহ্মণবর্গ। న(t য়াছে এবং যাহাতে বিমোহিত হইয়া মুগ্ধভাবে লোকে উপরে উক্ত ভ্রান্তিময় বাক্যগুলিকে, রত্ন সহবাসে রত্ন বলিয়। ভ্রম হওয়ায়, যত্নে পোষণ করিয়া আসিতেছে । উক্ত ভ্ৰমাত্মক ভাবের আধিপত্য-জনিত কু ফল অনুসন্ধান করিতে গিয়া, কোন পণ্ডিতবিশেষ সমাজের মধ্যে কতকগুলি নৈতিক দোষ দেখাইয়া, কু ফল প্রতিপন্ন করিয়াছেন। তিনি কহেন রাধাকৃষ্ণ-প্রণয় লইয়া ধৰ্ম্মতত্ত্ব, ও কৃষ্ণভক্তগণের মধ্যে নৈতিক শিথিলতা, ইত্যাদি অদ্বৈতবাদ হইতে উদ্ভূত। এতদ্বিষয় আমাদের আলোচ্য – হিন্দুসমাজের সামাজিক তত্ত্ব তিনি অতি অল্পই জ্ঞাত হইয়াছেন, যিনি একদেশদর্শী হইয়া সৰ্ব্বদেশত্ব ভাব গ্রহণ করিয়া থাকেন ; তিনি কোন সমাজেরই সামাজিক তত্ত্ব সমালোচনার যোগ্য নহেন। সত্য বটে তন্ত্রে আছে “যত্র জীব তত্ৰ শিৰ যত্র নারী তত্র গৌরী।" অথবা ভাগবতে কৃষ্ণের আচরণে সন্দিগ্ধচিত্ত হইয়া, যিনি ধৰ্ম্মস্থাপনার্থে পৃথিবীতে অবতীর্ণ, তাহা-কর্তৃক গোপকন্য সহ এরূপ যথেচ্ছাচার কেন কৃত হইল, পরীক্ষিৎকর্তৃক এরূপ জিজ্ঞাসিত হইলে, শুকদেব ঋষি কহিতেছেন “গোপীনাং তৎপতীনাঞ্চ সৰ্ব্বেষাঞ্চৈব দেহিনাম। যোহন্তশ্চরতি সোহধ্যক্ষ এষ ক্রীড়নদেহভাক ৷” পুনশ্চ নারদ-পঞ্চরাত্রে “গুরুরূপী স্বয়ং কৃষ্ণঃ শিষ্যাণাং হিতকাম্যয় । গুরে তুষ্টে হরিস্তুষ্টে হরে তুষ্টে জগত্রয়ম্ ॥ গুরুব্রহ্মা গুরুর্বিষ্ণু গুরুদেবো মহেশ্বরঃ । গুরুদেব পরং ব্রহ্ম গুরু: পূজ্য পরাৎপর; ॥”