পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১০৯

ৰালীকি ও তৎসামরিক বৃত্তান্ত । দ্বিতীয় واچ ইহাও সত্য যে, বীরাচার তান্ত্রিকদিগের মধ্যে, এবং কৃষ্ণভক্তিতে গুরুদিগের দেবত্ব গ্রহণে, এবং শিঘ্যদিগের ভক্তিমাগসম্বন্ধে ভাগবতস্থ “ শ্রবণং কীর্তনং বিষ্ণো: স্মরণং পাদসেবনং। অর্চনং বন্দনং দাস্তং সখ্যামাত্মনিবেদনম্।” শ্লোকের অযথা-অৰ্থ-প্রভাবে, তৎ তৎ, সম্প্রদায়ের মধ্যে নৈতিক শিথিলতা কতক পরিমাণে ঘটিয়াছে। কিন্তু জিজ্ঞাস্য যে, তাহা হিন্দু সমাজকে কতদূর আক্রমণ করিয়াছে, ধরিতে গেলে সেই সেই সম্প্রদায় বৃহৎ হিন্দুসমাজের পরমাণুমাত্র । আবার তান্ত্রিক বা বৈষ্ণব সম্প্রদায়স্থ সকলেই তদ্বারা আক্রান্ত নহে, নিৰ্ব্বোধেরাই রত্নভাগ পরিত্যাগ করিয়া মলভাগ গ্রহণ করিয়াছে। ফলতঃ রাধাকৃষ্ণে ভক্তির অধম বিধি, সৎশাস্ত্রপদবাচ্য এবস্তৃত পুস্তকে অতিক্লেশে লক্ষিত হইয়। থাকে; কিন্তু উচ্চতম বিধি যথেচ্ছ দর্শনে পাওয়া যায়। প্রকৃতিদেবী আমাদিগকে যেমন শিক্ষা দিতেছেন, তাহাতে জানিতেছি যে, যেখানে আলোক তৎপাশ্বে অন্ধকারও অবস্থান করে, তাহা ছাড়াইবার উপায় বা সাধ্য নাই। কিন্তু সে অন্ধকার কি অনিষ্টকর ? অন্ধকার যদি তাহার প্রকৃতি দ্বারা নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করিয়া আলোকস্থান অতিক্রম করিতে আইসে, তবেই তাহ অনিষ্টকর বলা যাইতে পারে, নতুবা তাহ নির্দোষ। খৃষ্টীয়ধৰ্ম্মাশ্রয়ে পোপীয় ধৰ্ম্ম যদ্রুপ, এবং পোপদিগের মধ্যে ষষ্ঠ আলেকজণ্ডার যদ্রুপ, অদ্বৈতবাদাশ্রয়ী বৈষ্ণবদিগের সহ বা তান্ত্রিকদিগের সহ, পশ্বাচারযুক্ত বৈষ্ণবগণের ধৰ্ম্ম এবং বীরাচারযুক্ত শক্তিগণের ধৰ্ম্ম